7:22 pm, Sunday, 27 April 2025

ভাংনী জামে মসজিদের বেদখল জমি উদ্ধার করে লিজ প্রদাণ করলেন মিঠাপুকুর ইউএনও

ভাংনী জামে মসজিদের বেদখল জমি উদ্ধার করে লিজ প্রদাণ করলেন মিঠাপুকুর ইউএনও

আব্দুল হালিম, বিশেষ প্রতিবেদক:

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ০৪ নং ভাংনী ইউনিয়নের ভাংনী জামে মসজিদের জমি একযুগ পর সিন্ডিকেট ভেঙে প্রকাশ্য নিলামে লিজ প্রদাণ করেন, মিঠাপুকুর ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ। পূর্বে যেখানে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার বেশি জমি লিজ প্রদান করা যেতোনা এবার সেখানে তিনগুণ বেশি লিজ প্রদাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিলামে অংশগ্রহণকারী কৃষকরা। পাশাপাশি লিজে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রান্তিক কৃষকেরা অংশগ্রহণ করতে পেরে ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
শনিবার (১৬-নভেম্বর) দুপুরে ভাংনী জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি সহ সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার ঘাঘট নদীর তীর ঘেষে ভাংনী ইউনিয়নের অবস্থান। এখানে চারশত বছর পূর্বে মোঘল আমলের শেষের দিকে ৪৮ গম্বুজ বিশিষ্ট ভাংনী জামে মসজিদ নির্মিত হয়েছিল।কথিত আছে বিবি মনিরুন্নেছা চৌধুরানীর কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় তার সমুদয় সম্পত্তি মনিরুন্নেছা বিবি ওয়াকফ স্টেটের নামে সর্বসাধারণের কল্যাণে ব্যয়ের জন্য দান করেন। যাহা মসজিদের মতোয়াল্লি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃত্ব বলে সভাপতি কমিটি দেখভাল করেন। কিন্তু বিগত সময়ে মসজিদের শতবিঘা জমির অধিকাংশ দখল হয়ে যায় এবং বাকীগুলো নামে মাত্র লিজ নিয়ে কয়েকজন বিভিন্ন প্রভাবে বেদখল করে রাখেন। উপজেলা প্রশাসন কিছু জমি বারবার দখলমুক্ত করলেও সিন্ডিকেট ভাংতে পারছিলেন না। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ, এবার মসজিদের জমি একযুগ পর দখল মুক্ত করে লিজ প্রদান করেন।
ভাংনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ওয়াহেদী জানান, একযুগের সিন্ডিকেট ভেঙে মসজিদের জমি এবার লিজ প্রদান করে মসজিদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেন মিঠাপুকুর ইউএনও। নিলামে অংশগ্রহণকারী মোকছেদ আলী ও বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রকৃত কৃষরা এবার নিলামে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে,যাহা অনেকটা স্বস্তির। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, এবার ১০ লক্ষ টাকায় জমিগুলো লিজ প্রদাণ করা হয়েছে। কোনো রকমের সিন্ডিকেট ছাড়াই কৃষকরা নিলামে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

জামায়াতে উদ্দোগে গণসংযোগ @

ভাংনী জামে মসজিদের বেদখল জমি উদ্ধার করে লিজ প্রদাণ করলেন মিঠাপুকুর ইউএনও

Update Time : 10:22:59 am, Sunday, 17 November 2024

ভাংনী জামে মসজিদের বেদখল জমি উদ্ধার করে লিজ প্রদাণ করলেন মিঠাপুকুর ইউএনও

আব্দুল হালিম, বিশেষ প্রতিবেদক:

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ০৪ নং ভাংনী ইউনিয়নের ভাংনী জামে মসজিদের জমি একযুগ পর সিন্ডিকেট ভেঙে প্রকাশ্য নিলামে লিজ প্রদাণ করেন, মিঠাপুকুর ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ। পূর্বে যেখানে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার বেশি জমি লিজ প্রদান করা যেতোনা এবার সেখানে তিনগুণ বেশি লিজ প্রদাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিলামে অংশগ্রহণকারী কৃষকরা। পাশাপাশি লিজে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রান্তিক কৃষকেরা অংশগ্রহণ করতে পেরে ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
শনিবার (১৬-নভেম্বর) দুপুরে ভাংনী জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি সহ সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার ঘাঘট নদীর তীর ঘেষে ভাংনী ইউনিয়নের অবস্থান। এখানে চারশত বছর পূর্বে মোঘল আমলের শেষের দিকে ৪৮ গম্বুজ বিশিষ্ট ভাংনী জামে মসজিদ নির্মিত হয়েছিল।কথিত আছে বিবি মনিরুন্নেছা চৌধুরানীর কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় তার সমুদয় সম্পত্তি মনিরুন্নেছা বিবি ওয়াকফ স্টেটের নামে সর্বসাধারণের কল্যাণে ব্যয়ের জন্য দান করেন। যাহা মসজিদের মতোয়াল্লি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃত্ব বলে সভাপতি কমিটি দেখভাল করেন। কিন্তু বিগত সময়ে মসজিদের শতবিঘা জমির অধিকাংশ দখল হয়ে যায় এবং বাকীগুলো নামে মাত্র লিজ নিয়ে কয়েকজন বিভিন্ন প্রভাবে বেদখল করে রাখেন। উপজেলা প্রশাসন কিছু জমি বারবার দখলমুক্ত করলেও সিন্ডিকেট ভাংতে পারছিলেন না। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ, এবার মসজিদের জমি একযুগ পর দখল মুক্ত করে লিজ প্রদান করেন।
ভাংনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ওয়াহেদী জানান, একযুগের সিন্ডিকেট ভেঙে মসজিদের জমি এবার লিজ প্রদান করে মসজিদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেন মিঠাপুকুর ইউএনও। নিলামে অংশগ্রহণকারী মোকছেদ আলী ও বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রকৃত কৃষরা এবার নিলামে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে,যাহা অনেকটা স্বস্তির। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, এবার ১০ লক্ষ টাকায় জমিগুলো লিজ প্রদাণ করা হয়েছে। কোনো রকমের সিন্ডিকেট ছাড়াই কৃষকরা নিলামে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন।