6:50 pm, Sunday, 27 April 2025

শ্রীবরদীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ইউটিউবে মিথ্যা খবরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শ্রীবরদীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ইউটিউবে মিথ্যা খবরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

এস ডি সুহেল রানা,শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরের শ্রীবরদীতে  তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে  ভাগিনা কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে মামা সহ একাধিক ব্যক্তিকে হয়রানি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বানোয়াট অপপ্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

৩ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রানী শিমুল বাজারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নির্যাতিত সামছুদ্দিন মিয়া ও তার পরিবার। 

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো মিজানুর রহমান তিনি বলেন, রানীশিমুল এলাকার ইয়াছিন আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম আমার সম্পর্কে ফুফাতো ভাই আর এ সুবাদেয় আমার পিতা শামছুদ্দিন মিয়ার নিকট রানী শিমুল বাজারের 

সরকারী জায়গায় বরাদ্দকৃত ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছে। 

কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ রফিকুল তার চুক্তি ভঙ্গ করে ভাড়া দিচ্ছে না। 

ফলে আমরা ঘরটি নিজেরাই ব্যবসা-বাণিজ্য করবো বলে তাকে জানাই। 

কিন্তু সে কোন অবস্থায় ঘর ছাড়বে না বলে জানিয়ে দেয়। 

গত ২৫ শে নভেম্বর সোমবার সকালে আমার পিতা সহ আমার পরিবারের লোকজন দোকান ঘরের সামনে গেলে রফিকুল সহ তার স্বজনরা আমাদের সাথে অশ্লীল ভাষায় খারাপ আচরন করেন। 

এক পর্যায়ে আমরা  দোকান ঘরে ঢুকে মালামাল নিয়ে  শ্রীবরদী থানা পুলিশের নিকট রাখা হয়। 

কিন্তু তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে আমি সহ আমার বৃদ্ধ  বাবা, ভাই 

রানীশিমুল হাট বাজারের ইজারাদার সহ স্থানীয় নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ কয়েকটি অনলাইন ও ইউটিউবে মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করছে। এতে আমরা সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি। 

রানীশিমুল হাট বাজারের ইজারাদার মো মির্জা মিয়া বলেন,  দোকান ঘরটির প্রকৃত মালিক শামসুদ্দিন মিয়া। তার ভাগ্নে রফিকুল তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। 

সোমবার বাজারের ভিতরে মামা ভাগ্নের দোকান ঘর নিয়ে ঝগড়া বাঁধলে আমি বাজারের ইজারদার হিসেবে তাদের উভয়ের ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করতে যায়। 

পরবর্তীতে রফিকুল আমাকে কোন কারণ ছাড়াই 

মামলার আসামি করেছেন। মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। শামসুদ্দিন মিয়া জানায়, ৪/৫ বছর আগে আমার ভাগ্নে রফিকুল ৩ শত টাকার মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে আমার নিকট ঘরটি ভাড়া নেয়। 

কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত ঘর ভাড়ার মাসিক টাকা না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন কথা বলে বেড়ায়। 

কোন ঘটনা ছাড়াই আমার ৫ ছেলে সহ,  আমাকে ও একাধিক নীরিহ ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা অবিলম্বে সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ 

তদন্তের দাবি জানাই। 

সংবাদ সম্মেলনে রানী শিমুল বাজারের ইজারাদার 

মো মির্জা মিয়া, শামসুদ্দিন মিয়া, মিজানুর রহমান, হামিদুর রহমান, ফটিক মিয়া, জুয়েলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন 

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত  মো রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি  জানায়, তারা আমার দোকান ঘরে হামলা চালায় ও মালামাল নিয়ে যায়। আমাকে বের করে দেয়।

তাই আমরা মামলা করেছি। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)শ্রীবরদী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো সিরাজুল ইসলাম জানায়,  প্রাথমিকভাবে জানা গেছে  ঘরের প্রকৃত মালিক শামসুদ্দিন মিয়া। 

তারা সম্পর্কে মামা ভাগ্নে। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। 

মামলাটি গুরুত্ব সহকারে  তদন্ত করা হচ্ছে। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

জামায়াতে উদ্দোগে গণসংযোগ @

শ্রীবরদীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ইউটিউবে মিথ্যা খবরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Update Time : 06:11:22 pm, Wednesday, 4 December 2024

শ্রীবরদীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ইউটিউবে মিথ্যা খবরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

এস ডি সুহেল রানা,শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরের শ্রীবরদীতে  তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে  ভাগিনা কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে মামা সহ একাধিক ব্যক্তিকে হয়রানি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বানোয়াট অপপ্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

৩ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রানী শিমুল বাজারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নির্যাতিত সামছুদ্দিন মিয়া ও তার পরিবার। 

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো মিজানুর রহমান তিনি বলেন, রানীশিমুল এলাকার ইয়াছিন আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম আমার সম্পর্কে ফুফাতো ভাই আর এ সুবাদেয় আমার পিতা শামছুদ্দিন মিয়ার নিকট রানী শিমুল বাজারের 

সরকারী জায়গায় বরাদ্দকৃত ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছে। 

কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ রফিকুল তার চুক্তি ভঙ্গ করে ভাড়া দিচ্ছে না। 

ফলে আমরা ঘরটি নিজেরাই ব্যবসা-বাণিজ্য করবো বলে তাকে জানাই। 

কিন্তু সে কোন অবস্থায় ঘর ছাড়বে না বলে জানিয়ে দেয়। 

গত ২৫ শে নভেম্বর সোমবার সকালে আমার পিতা সহ আমার পরিবারের লোকজন দোকান ঘরের সামনে গেলে রফিকুল সহ তার স্বজনরা আমাদের সাথে অশ্লীল ভাষায় খারাপ আচরন করেন। 

এক পর্যায়ে আমরা  দোকান ঘরে ঢুকে মালামাল নিয়ে  শ্রীবরদী থানা পুলিশের নিকট রাখা হয়। 

কিন্তু তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে আমি সহ আমার বৃদ্ধ  বাবা, ভাই 

রানীশিমুল হাট বাজারের ইজারাদার সহ স্থানীয় নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ কয়েকটি অনলাইন ও ইউটিউবে মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করছে। এতে আমরা সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি। 

রানীশিমুল হাট বাজারের ইজারাদার মো মির্জা মিয়া বলেন,  দোকান ঘরটির প্রকৃত মালিক শামসুদ্দিন মিয়া। তার ভাগ্নে রফিকুল তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। 

সোমবার বাজারের ভিতরে মামা ভাগ্নের দোকান ঘর নিয়ে ঝগড়া বাঁধলে আমি বাজারের ইজারদার হিসেবে তাদের উভয়ের ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করতে যায়। 

পরবর্তীতে রফিকুল আমাকে কোন কারণ ছাড়াই 

মামলার আসামি করেছেন। মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। শামসুদ্দিন মিয়া জানায়, ৪/৫ বছর আগে আমার ভাগ্নে রফিকুল ৩ শত টাকার মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে আমার নিকট ঘরটি ভাড়া নেয়। 

কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত ঘর ভাড়ার মাসিক টাকা না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন কথা বলে বেড়ায়। 

কোন ঘটনা ছাড়াই আমার ৫ ছেলে সহ,  আমাকে ও একাধিক নীরিহ ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা অবিলম্বে সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ 

তদন্তের দাবি জানাই। 

সংবাদ সম্মেলনে রানী শিমুল বাজারের ইজারাদার 

মো মির্জা মিয়া, শামসুদ্দিন মিয়া, মিজানুর রহমান, হামিদুর রহমান, ফটিক মিয়া, জুয়েলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন 

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত  মো রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি  জানায়, তারা আমার দোকান ঘরে হামলা চালায় ও মালামাল নিয়ে যায়। আমাকে বের করে দেয়।

তাই আমরা মামলা করেছি। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)শ্রীবরদী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো সিরাজুল ইসলাম জানায়,  প্রাথমিকভাবে জানা গেছে  ঘরের প্রকৃত মালিক শামসুদ্দিন মিয়া। 

তারা সম্পর্কে মামা ভাগ্নে। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। 

মামলাটি গুরুত্ব সহকারে  তদন্ত করা হচ্ছে।