
মিঠাপুকুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা ও বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আব্দুল হালিম, স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর
রংপুরের বিভাগের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বালু ব্যবসায়ী মশিয়ার রহমান গং কর্তৃক অবৈধভাবে ড্রেজার মেসিন দিয়ে উঠানো বালু পরিবহনে রাস্তা না দেওয়ায় কৃষকের বাড়িঘরে হামলা ও বিএনপি নেতার নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮-ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার দুপুর ১২ টার সময় মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী কৃষকের মেয়ে মমেনা বেগম এবং মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হযরত আলী সহ বোন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হযরত আলী বলেন, মশিয়ার বলদিপুকুর এলাকার একজন চিহ্নিত আ-লীগ নেতা এবং বালু ব্যবসায়ী। একজন ইউপি চেয়ারম্যান এবং ছাত্র লীগের এক নেতার নিকটাত্মীয় হওয়ায় মশিয়ার গত ১৫ বছরে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বলদিপুকুরে কৃষি জমি,আবাদি জমি,ডোবা নালা রাস্তাঘাট ভেঙে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে নিয়মিত বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। আমি বিএনপি করায় আমার বোনের জমি মশিয়ার রহমান দীর্ঘদিন থেকে দখল করে সেই জমি দিয়ে বছরের পর বছর বালু পরিবহন করে আসছেন। যেখানে আমার বোনের জমি সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর,তবু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমার বোন বগুড়া থেকে এখানে এসে বাড়ি করায় তার নিকটাত্মীয় বলতে আমরা ছাড়া আর কেউ নাই। গত ১৯ ডিসেম্বর মমিনপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর সংলগ্ন আমার বোনের জমি দিয়ে বালু পরিবহনের বিষয়ে এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের অনুরোধে আমি সেখানে গিয়ে মশিয়ারের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু মশিয়ার আকস্মিক আমার উপর হামলা চালালে আমার লোকজনের সঙ্গে ছোটখাটো একটি মারামারি সংঘটিত হয়। যেখানে আমি জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসি। এঁরই জের ধরে মশিয়ার গং আমার বোনের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। পরে অপবাদ ছড়ায় আমি নাকি চাঁদা দাবি করেছি। তিনি বলেন, আমি যদি অন্যায় করে থাকি সেটার দায় আমার।আমার দলের নয়। কিন্তু যাঁরা দলকে কলুষিত করছে তারা একটি বিশেষ গোষ্ঠী। ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টায় রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কৃষকের মেয়ে মমেনা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ি-ঘরে মশিয়ার হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। যে যাই পেরেছে তাই নিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ভেঙে গিয়েছে। তবু প্রশাসন মশিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তার দাবি, মশিয়ারের বালুর পয়েন্টে ভ্রামমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হউক। সেই সঙ্গে তার ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, উভয় পক্ষ দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বালু পরিবহনে রাস্তা না দেওয়ায় কৃষকের বাড়িতে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান,অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখা হবে।
২৮-১২-২০২৪