11:02 pm, Sunday, 20 April 2025

চট্টগ্রামে গভীর রাতে পাহাড় কাটা

চট্টগ্রামে গভীর রাতে পাহাড় কাটা

মোঃ জাহিদুল ইসলাম,চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় গভীর রাতে পাহাড় কাটার ঘটনা নিয়মিতভাবে ঘটছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অবৈধভাবে চলছে এই পাহাড় কাটার কার্যকলাপ, যা পরিবেশের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অন্ধকার রাতে পাহাড় কাটা হচ্ছে, যাতে কেউ এই অবৈধ কাজটি ধরতে না পারে। এই কারণে স্থানীয় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, ভূমিধসের আশঙ্কা বাড়ছে এবং জীববৈচিত্র্য হারাচ্ছে। এই বিষয়ে স্থানীয়রা পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। স্থানীয়রা দাবি করছেন, অবৈধ পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতরা সংবাদ প্রকাশ না করবার জন্য সাংবাদিকদের টাকা ও বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে, বিএনপির প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে ভূমি ক্ষয়, পানির স্বল্পতা, এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হতে পারে। তাছাড়া, পাহাড় কাটার ফলে ভূমিধসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়, যা মানুষের জীবন ও সম্পত্তির জন্য হুমকি হতে পারে।পরিবেশ রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব। সরকারকে অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর সাথে যোগাযোগ করলে মামলা প্রক্রিয়া দিন বলে জানিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা

চট্টগ্রামে গভীর রাতে পাহাড় কাটা

Update Time : 08:31:39 pm, Monday, 13 January 2025

চট্টগ্রামে গভীর রাতে পাহাড় কাটা

মোঃ জাহিদুল ইসলাম,চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় গভীর রাতে পাহাড় কাটার ঘটনা নিয়মিতভাবে ঘটছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অবৈধভাবে চলছে এই পাহাড় কাটার কার্যকলাপ, যা পরিবেশের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অন্ধকার রাতে পাহাড় কাটা হচ্ছে, যাতে কেউ এই অবৈধ কাজটি ধরতে না পারে। এই কারণে স্থানীয় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, ভূমিধসের আশঙ্কা বাড়ছে এবং জীববৈচিত্র্য হারাচ্ছে। এই বিষয়ে স্থানীয়রা পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। স্থানীয়রা দাবি করছেন, অবৈধ পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতরা সংবাদ প্রকাশ না করবার জন্য সাংবাদিকদের টাকা ও বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে, বিএনপির প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে ভূমি ক্ষয়, পানির স্বল্পতা, এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হতে পারে। তাছাড়া, পাহাড় কাটার ফলে ভূমিধসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়, যা মানুষের জীবন ও সম্পত্তির জন্য হুমকি হতে পারে।পরিবেশ রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব। সরকারকে অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর সাথে যোগাযোগ করলে মামলা প্রক্রিয়া দিন বলে জানিয়েছে।