
জয়পুরহাটে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ঠান্ডার বাড়িতে ভাংচুর
মোঃ গোলাম মুর্তজা,কালাই উপজেলা প্রতিনধি
জয়পুরহাটের কালাই উদয়পুর ইউনিয়নের টাকাহুত গ্রামে ইউপি সদস্যের জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ঠান্ডা মিয়ার বসতবাড়িতে ভিত্তিপ্রস্তর পিলারের রড কেটে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। টাকাহুত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷
আজ বুধবার সকাল ৮ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটিতে একটি পাকা ঘর, তোলার জন্য ১২টি কলম উত্তোলন করা হলে বিল্ডিং এর পূর্ব দিকে তিনটি কল কর্তন করে ফেলা হয়েছে৷ প্রতিবেশীদের দাবি৷ ইউপি সদস্য যার পক্ষ নিয়ে এখানে এসে কলমগুলো কেটে ফেলেছে এটি সম্পূর্ণ অন্যায় করেছে৷
ভুক্তভোগী ঠান্ডা মিয়ার দাবি, আমার ভাই বাদশা মিয়া দুই শতক জমি প্রতিবেশী ফজলুর কাছে বিক্রয় করার পৃবে বাদসা আমার আঙিনার উপর দিয়ে যাতায়াত করত ওই দুই শতাংশ জমি আমার কাছে বিক্রি না করে প্রতিবেশি কাছে বিক্রয় করে৷ যেহেতু আমার ভাই অন্যের কাছে জমি বিক্রয় করেছে আমার জায়গা দিয়ে চলাচলের রাস্তা দিব না মানবিক হিসাবে আমি ৩ফিট জায়গা ছেড়েছি৷ আমার
৭ শতাংশ জায়গার উপর কাঁচা বাড়ি ভেঙে পাকা বাড়ি ভিত্তিপ্রস্তরের কলম দাঁড় করিয়েছি৷ প্রতিবেশী ফজলু তাতে ব্যর্থ হয়ে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ১৪ই জানুয়ারি বেলা সকাল ৮ ঘটিকার সময় ৩০ থেকে ৫০ জন লোক এনে৷ আমার স্থাপনকৃত কলমে হেনশান হ্যামপার মেশিন দিয়ে কেটে ফেলে দিয়েছে আমার দুই লক্ষ্যধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি করেছে অথচ ফজলুর বাড়ির পিছন দিকে চলাচলের রাস্তা রয়েছে৷ তিনি ওই দিকে না গিয়ে আমার জায়গা কেন ব্যবহার করবে৷ একজন ইউপি সদস্য একর্তফায় আমার বাড়িতে হামলা করেছে৷
আমি সাংবাদিকদের মধ্যেমে প্রশাসনের উর্দতনকর্মকর্তা ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সুদৃষ্টি কামনা করছি৷
স্থানিয় প্রতিবেশীরা বলেন ফজলুর রাস্তা বন্ধ করায় । এরই জেরে এই ইউপি সদস্য গ্রামের কিছু দালাল চক্রের লোকনিয়ে তিনি বাঁশের বেঁড়া দিয়ে রাস্তা বের করে দেন। এলাকার অসাধু কিছু লোক মিলেই নতুন পিলারের কলম কেটে দিয়েছে৷
ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আরিফুল বলেন,আমরা বাড়ি করার সময় প্রতিবেশী ফজলু রাস্তার জন্য কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিয়োগ দেন আমাদের উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে আগামী মঙ্গলবার উপজেলায় বৈঠকের মাধ্যমে এবিষয়ে একটি ফয়সালা করার তারিখ দেওয়া হয়েছে ৷উপজেলা নির্বাহী তিনি একজন ম্যাজিস্ট্রেট সরজমিনে এসে সরকারী সার্ভীয়ারের মাধ্যমে এইজায়গা পরিমাপ করে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা তা মাথা পেতে নিব কিন্তু আমাদের কষ্ট হচ্ছে জাহাঙ্গীর ইউপি সদস্য একজন নির্বাহী অফিসারকে তোয়াক্কা না করে তিনি নিজেই আইন তৈরি করে আমার নির্মাণাধীন নতুন পিলারের কলম কেটে ফেলে দিয়েছে এই ন্যাকার্জনক ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি৷
পরিবারটির দাবি, পাকা ঘরের ভিত্তিপ্রস্তর পিলার কলম তৈরিতে রড সিমেন্ট বালি মিস্ত্রি ও লেবার খরচ আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারটি আরও জানায়,স্থানীয় ঠান্ডা মিয়া তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ভাইদের কেনা জমিতে বাড়ি করছেন। ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন মিলে ওই ঠান্ডার বাড়িতে এক দফা হামলা করে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছাদিয়া বলেন,‘গত এক মাস ধরে আমরা বাড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত, আমরা এ দেশের নাগরিক। আমার নামে অভিযোগ থাকলে থানা পুলিশকে বলুক,অভিযোগ করুক। জোর করে আমার বাড়িতে এসে কলম কেটে দিলো আমরা কার কাছে যাব। আমাকে মাধরধর করেছে আমাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি জানাই।’
ঠান্ডা মিয়ার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আরিফুল ইসলাম, বলেন, ঠান্ডা মিয়া কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করে খাইত। মোটামুটি এক মাস ধরে পাকা বাড়ি তৈরির জন্য কাজ শুরু করেন ঠান্ডা তার বিরুদ্ধে কোনদিন এই গ্রামে বিচার শালিস হয়নি, এই প্রথম কি ব্যাপারে তাও জানিনা আগামিকাল কলম গুলু কেটে দিয়েছে আমরা সুবিচার চাই। যাতে সুস্থভাবে সবাই আমরা চলতে পারি।
অভিযুক্ত ফজলু মিয়ার বাড়িতে গেলে দরজায় তালা মেরে অন্যত্র চলে যান, তার ব্যবহৃত মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি৷
এদিকে হামলার বিষয়ে উদয়পুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.জাহাঙ্গীর মোঠু ফোনে বলেন, এবিষয়ে আপনার সাথে আমি পরে কথা বলব৷
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার(UNO) শামিমা আক্তার জাহান বলেন,‘এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’