
মুক্তিযোদ্ধা কোটাতে সুবিধা, নিয়ে মেডিকেল পরীক্ষার রেজাল্টে বিতর্ক
রাসিখ বিল্লাহ,রংপুর মহানগর ব্যুরো চীফ্
আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উঠেছিল। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছিলেন যে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের জন্য প্রযোজ্য হবে, নাতি-নাতনি বা অন্য কোনো পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরাও এই কোটা সুবিধা পাচ্ছেন, যা নতুন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্টের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ কোটা সুবিধা বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের জন্য প্রযোজ্য হলেও, অনেকেই মনে করছেন যে, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরাও সুবিধা পাচ্ছেন,যা কোটা সংরক্ষার নীতির মূল উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সম্মান জানাতে এই কোটা প্রবর্তিত হয়। বর্তমানে, যেহেতু অনেক মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যারা বয়সে প্রবীণ, সেহেতু মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোটা সুবিধা পাচ্ছেন। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, এই প্রজন্মের জন্য কোটা সুবিধা দেওয়া উচিত কি না, তা একটি বিতর্কিত বিষয়।
২০২৪ সালের আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের জন্য কোটা সুবিধা দানকে সমর্থন করা হলেও, কিছু মানুষ মনে করছেন যে, যদি কোটার সুবিধা নাতি-নাতনির মধ্যে পৌঁছে যায়, তবে এর মূল উদ্দেশ্য মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে শ্রদ্ধা ও সহায়তা প্রদান এটি ক্ষুণ্ন হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, কোটার আওতায় অংশগ্রহণকারী পরিবারগুলোর সঠিক চিহ্নিতকরণ ও সময়োপযোগী পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। এতে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা নয়, তবে অন্য প্রজন্মও এর আওতায় আসতে পারে এবং এই বিতর্কের সুরাহা হতে পারে।
এছাড়া, সরকার যদি এই কোটা নীতি পর্যালোচনা করে এবং আরও সুষম ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তবে দেশব্যাপী জনগণের মধ্যে এই বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে।