
মানিক তালুকদার, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:
শনিবার দুপুর ২ ঘটিকায় পৌর শহরের মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজ রোডস্থ মোহনগঞ্জ উপজেলার ৫ নং সমাজ সহিলদেও ইউনিয়নের সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হাদিছ মিয়া, তিনি তাকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত কয়েক বছর আগে নিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ও পূর্ব শত্রুতাবশতঃ একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর, অডিও কলরেকর্ড প্রকাশ করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা ( AI) এ.আই টেকনোলজি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি করা,সম্পূর্ণ বানোয়াট,এবং মিথ্যা।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন যাবত নাম প্রকাশ না করে একজন ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। কোনক্রমেই যখন আমাকে ঘায়েল করতে পারেনি, শেষে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার হুমকি দেয়।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাপলা আক্তার নামে একটি ফেক আই.ডি থেকে আমার অডিও কল কপি করে পোস্ট করছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার জন্যে খুবই বিব্রতকর ও মানহানিকর। আমি এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা প্রায় তের মাস যাবত একসাথে স্কুলের কাজ করে আসছি। হাদিছ সাহেব খুব ভালোভাবেই দায়ীত্ব পালন করে আসছেন। আমি কখনও উনাকে কোন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত পাইনি। পূর্বে তিনি কোথায় কী করেছেন তা আমার জানা নেই।
উল্লেখ্য এর আগে তিনি আলাউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, সেলিমগঞ্জ, জামালগঞ্জ,সুনামগঞ্জ, পরে জৈনপুর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় মোহনগঞ্জ এবং পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মোহনগঞ্জ এ গণিত শিক্ষক ছিলেন।বর্তমানে তিনি সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।