1:55 am, Monday, 28 April 2025

বটিয়াঘাটা উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন

বটিয়াঘাটা উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন

মোঃ নাদিম হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার:

বটিঁয়াঘাটা উপজেলা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে কৃষি জমিতে এখন তিন ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এবার প্রণোদনা এবং উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৬৩টি ওয়ার্ডে ২৬০ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে বারি-১৭ জাতের সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। 
জানা গেছে, উপজেলার যে সকল জমিতে এক ফসল কোন কোন জমিতে ফসল হতোনা আজ কৃষি দপ্তরের পরামর্শে সেই জমিতে তিনটি ফসল চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথমে আমন ধান, তারপর সরিষা এবং পরে তিল, ডাল, তরমুজ বা সবজি চাষ করতে পারছে কৃষকেরা। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিনা চাষে সরিষার ক্ষেতে এখন হলুদের সমারোহ। কিছু কিছু জায়গায় সরিষা গাছ ৩/৪ ফুট লম্বা হয়েছে। মাঠে গেলে মৌমাছির গুণ গুণ শব্দে মন জুড়িয়ে যায়। বটিয়াঘাটা সুরখালির সুখদাড়া,বুনারাবাদ, এলাকার চাষি গনেষ মন্ডল, কালি ঠাকুর বিস্বাশ,বটিয়াঘাটার ভেন্নাবুনিয়া এলাকার সরিষা চাষি প্রসেন জদ্দার, সন্দিপন মন্ডল, কৃঞ্চপদ জদ্দার, অপর্ণা ভট্টাচার্য, সমর মন্ডল, নারায়ণ জদ্দার ও ফুলতলা এলাকার মিহির মন্ডল, সুকদাড়া এলাকার চাষি ঠাকুর দাশ বিশ্বাস বলেন আমাদের এলাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সরদার আব্দুল মান্নানের পরামর্শে আমরা এক ফসলি জমিতে এখন তিনটা ফসল উৎপাদন করতে পারছি। সর্বশেষ তার পরামর্শক্রমে বিনা চাষে বারি সরিষা-১৭ জাতের চাষ করেছি। যা চাষ করতে আমাদের সামান্য টাকা খরচ হয়। আশা করি প্রাকৃতিক দূযোঘ নাহোলে প্রতি বিঘা জমিতে ১৬/২০ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি হবে। আরেক জন কৃষক গনেশ মন্ডল বলেন, গত বছর ঐ সকল জমিতে প্রথমে আমন ধান পরে তরমুজ বা তিল চাষ করেছি। কিন্তু একই জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে বিনা চাষে এবং সরকারি সাহায্য মাধ্যমে অল্প খরচে সরিষা চাষ করেছি। তারা বলেন যে কোন বিষয় নিয়ে কৃষি অফিসে পরামর্শ নিতে গেলে তারা সব সময় আন্তরিকভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, আমাদের এলাকার কৃষি অফিসার সরদার আব্দুল মান্নান সার্ব ক্ষন খোজনেন, যে কারণে অন্য উপজেলার থেকে বটিয়াঘাটায় বিনা চাষে সরিষার ক্ষেত বেশি হয়েছে।উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান বলেন, আমি জখন বটিয়ঘাটায় কাজে যোগদান করি তখন এই এলাকায় জমিতে লবনের পরিমান এতবেসি ছিল ধানের ফসল মাইর খেয়ে জেত, কিছু জমিতে এক ফসলী জমিকে দুই ফসল, আবার দুই ফসলী জমিকে তিন ফসলী করার লক্ষে স্বল্প জীবনকালের ধান রোপণ করে সেই জমিতে সরিষা বপণ করা হয়। ফলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিসহ কৃষকের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটছে। সার্বিক বিষয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবু বকর বলেন, উপজেলায় ২৬০ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে বারি-১৭ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। এক জমিতে কৃষক এখন তিন ফসল উৎপাদন করতে পারছে। যদি কোন ধরণের দুর্যোগ না হয় তাহলে কৃষক বাম্পার ফলন পাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে নৌকা ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেললেন চেয়ারম্যান

বটিয়াঘাটা উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন

Update Time : 06:32:43 pm, Wednesday, 29 January 2025

বটিয়াঘাটা উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন

মোঃ নাদিম হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার:

বটিঁয়াঘাটা উপজেলা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে কৃষি জমিতে এখন তিন ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এবার প্রণোদনা এবং উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৬৩টি ওয়ার্ডে ২৬০ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে বারি-১৭ জাতের সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। 
জানা গেছে, উপজেলার যে সকল জমিতে এক ফসল কোন কোন জমিতে ফসল হতোনা আজ কৃষি দপ্তরের পরামর্শে সেই জমিতে তিনটি ফসল চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথমে আমন ধান, তারপর সরিষা এবং পরে তিল, ডাল, তরমুজ বা সবজি চাষ করতে পারছে কৃষকেরা। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিনা চাষে সরিষার ক্ষেতে এখন হলুদের সমারোহ। কিছু কিছু জায়গায় সরিষা গাছ ৩/৪ ফুট লম্বা হয়েছে। মাঠে গেলে মৌমাছির গুণ গুণ শব্দে মন জুড়িয়ে যায়। বটিয়াঘাটা সুরখালির সুখদাড়া,বুনারাবাদ, এলাকার চাষি গনেষ মন্ডল, কালি ঠাকুর বিস্বাশ,বটিয়াঘাটার ভেন্নাবুনিয়া এলাকার সরিষা চাষি প্রসেন জদ্দার, সন্দিপন মন্ডল, কৃঞ্চপদ জদ্দার, অপর্ণা ভট্টাচার্য, সমর মন্ডল, নারায়ণ জদ্দার ও ফুলতলা এলাকার মিহির মন্ডল, সুকদাড়া এলাকার চাষি ঠাকুর দাশ বিশ্বাস বলেন আমাদের এলাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সরদার আব্দুল মান্নানের পরামর্শে আমরা এক ফসলি জমিতে এখন তিনটা ফসল উৎপাদন করতে পারছি। সর্বশেষ তার পরামর্শক্রমে বিনা চাষে বারি সরিষা-১৭ জাতের চাষ করেছি। যা চাষ করতে আমাদের সামান্য টাকা খরচ হয়। আশা করি প্রাকৃতিক দূযোঘ নাহোলে প্রতি বিঘা জমিতে ১৬/২০ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি হবে। আরেক জন কৃষক গনেশ মন্ডল বলেন, গত বছর ঐ সকল জমিতে প্রথমে আমন ধান পরে তরমুজ বা তিল চাষ করেছি। কিন্তু একই জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে বিনা চাষে এবং সরকারি সাহায্য মাধ্যমে অল্প খরচে সরিষা চাষ করেছি। তারা বলেন যে কোন বিষয় নিয়ে কৃষি অফিসে পরামর্শ নিতে গেলে তারা সব সময় আন্তরিকভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, আমাদের এলাকার কৃষি অফিসার সরদার আব্দুল মান্নান সার্ব ক্ষন খোজনেন, যে কারণে অন্য উপজেলার থেকে বটিয়াঘাটায় বিনা চাষে সরিষার ক্ষেত বেশি হয়েছে।উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান বলেন, আমি জখন বটিয়ঘাটায় কাজে যোগদান করি তখন এই এলাকায় জমিতে লবনের পরিমান এতবেসি ছিল ধানের ফসল মাইর খেয়ে জেত, কিছু জমিতে এক ফসলী জমিকে দুই ফসল, আবার দুই ফসলী জমিকে তিন ফসলী করার লক্ষে স্বল্প জীবনকালের ধান রোপণ করে সেই জমিতে সরিষা বপণ করা হয়। ফলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিসহ কৃষকের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটছে। সার্বিক বিষয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবু বকর বলেন, উপজেলায় ২৬০ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে বারি-১৭ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। এক জমিতে কৃষক এখন তিন ফসল উৎপাদন করতে পারছে। যদি কোন ধরণের দুর্যোগ না হয় তাহলে কৃষক বাম্পার ফলন পাবে।