
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে
দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
সেলিম মাহবুব,ছাতক
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকায় দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষনিক পাওয়া যায়নি। সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় দিঘলী গ্রামের মাঠ থেকে এ সংঘর্ষের সুত্রপাত ঘটে। পরে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট জুড়ে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ সময় বাস,সিএনজি, লাইটেস সহ ৮/১০ টি গাড়ি ভাংচুর করেছে সংঘর্ষকারীরা।সড়কে যান চলাচল দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ হয়ে যায়। ভাংচুরকৃত গাড়িগুলো এখনো সড়কের পাশে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের দিঘলী চাকলপাড়া ও গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের দিঘলী রামপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্র আরো জানায়, দিঘলী রামপুর গ্রামের শাহজালাল একাদশ আয়োজিত মধ্যমবার ফুটবল প্রতিযোগিতা মাঠে চলছিল। বিকেলে “রুমা এফসি দিঘলী মাঝপাড়া ও দিঘলী চাকলপাড়া” বনাম “মিম এফসি চরবাউকা, দিঘলী রামপুরের” মাঝে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় মিম এফসি হেরে গেলে কমিটির পক্ষপাতমুলক আচরণের অভিযোগ উঠে। এ সময় খেলার দর্শকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রামপুর ও চাকল পাড়া গ্রামের দর্শকরা দু’ দলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মাঠে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মিম এফসি’র মহিবুর রহমান তারেক ও দুলাল এবং রুমা এফসি’র রইছ আলীর মধ্যে প্রথমে মারামারি শুরু হয় বলে একাধিক সুত্র জানায়।
পরে সংঘর্ষ গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন সহ পথচারি, গাড়ি চালক যাত্রী মিলে অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষকারীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে এসব লোকজন আহত হয়েছেন। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এলাকায় ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সিলেট-সুনামগঞ্জ সংঘর্ষ কারীদের ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে রণক্ষেত্রে পরিনত গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকা। বার-বার ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সড়কে প্রায় আধঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো। এসময় খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান, ফুটবল খেলা নিয়ে মাঠে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট সহ এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।##