10:48 pm, Sunday, 20 April 2025

নওগাঁ মেয়ে অশ্বরোহী তাসমিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জয়ের নেশায় ছুটছে হালিমা খাতুন

নওগাঁ মেয়ে অশ্বরোহী তাসমিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জয়ের নেশায় ছুটছে হালিমা খাতুন

উজ্জ্বল কুমার সরকার,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

নওগাঁর ধামইরহাটের মেয়ে অশ্বারোহী তাসমিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জয়ের নেশায় ছুটছে ছোট বোন হালিমা খাতুন (১৪)। নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অংশ নিচ্ছে হালিমা। গত বুধবার বিকেলে ধামইরহাট উপজেলার ফার্শিপাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সবার দৃষ্টি কাড়ে ঘোড়সওয়ার হালিমা। তাঁর ঘোড়দৌড় দেখতে ভিড় করে হাজারো মানুষ। ধামইরহাট উপজেলা সদরের ফার্শিপাড়া মিনি স্টেডিয়ামসংলগ্ন ফসলি জমির মাঠে ধামইরহাট পৌর কৃষক দলের আয়োজনে গত বুধবার বিকেল চারটায় এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে হালিমাসহ দুটি গ্রুপে ৪০টি ঘোড়া অংশ নেয়। উভয় গ্রুপের প্রথম স্থান অধিকারীকে একটি করে টেলিভিশন ও বাকি দুজনকে একটি করে মুঠোফোন উপহার দেওয়া হয়।প্রতিযোগিতায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বগুড়া, জয়পুরহাট, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি ৪০টি ঘোড়া নিয়ে আসেন। তবে শিশু–কিশোরদের দিয়ে এ ধরনের খেলায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ধামাইরহাট উপজেলার চকসবুল গ্রাম থেকে একটি ঘোড়া নিয়ে এসেছিলেন ওবায়দুল হক। তাঁর মেয়ে হালিমা খাতুন সেই ঘোড়ার সওয়ার। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সবার দৃষ্টি কাড়ে কিশোরী হালিমা। ঘোড়া ছুটিয়ে ‘খ’ গ্রুপে দ্বিতীয় হয় সে। হালিমা ঘোড়সওয়ার তাসমিনা আক্তারের ছোট বোন। তাসমিনাকে নিয়ে ২০১৫ সালে ‘এক দুঃখী ঘোড়সওয়ারের গল্প’ শিরোনামে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। খবরটি প্রকাশের পর গাজীপুরের ঘোড়াখামারি উলফত কাদের তাকে ঘোড়া উপহার দেন। পরে প্রথম আলোর পক্ষ থেকেও তাসমিনাকে ঘোড়া কিনে দেওয়া হয়। তাকে নিয়ে নির্মাণ করা হয় প্রামাণ্যচিত্র। প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হলে তাসমিনার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে।তাসমিনা এখন ধামইরহাট সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার ছোট বোন হালিমা ধামইরহাট উপজেলার শঙ্করপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাসমিনারা তিন বোন ও দুই ভাই। বাবা ওবায়দুল হক একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। মাছ ব্যবসার পাশাপাশি তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য ঘোড়া পোষেন। তাসমিনার বাবা ওবায়দুল হক বলেন, ‘তাসমিনার মতো আমার ছোট মেয়ে হালিমারও প্রতিযোগিতায় ঘোড়া ছোটানোর শখ। প্রতিযোগিতায় জয়ী হলে মানুষের হাততালি পায়, মানুষ তাকে ভালোবাসে, এটাই তার আনন্দ। মেয়েকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটতে হয়। এ বছর ২০টির মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ১০টিতে প্রথম হয়েছে সে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

জবিতে প্রশাসনিক ভবনে দুইতলা উঠতে ৪০ লক্ষ টাকার লিফট

নওগাঁ মেয়ে অশ্বরোহী তাসমিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জয়ের নেশায় ছুটছে হালিমা খাতুন

Update Time : 06:18:36 pm, Monday, 3 February 2025

নওগাঁ মেয়ে অশ্বরোহী তাসমিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জয়ের নেশায় ছুটছে হালিমা খাতুন

উজ্জ্বল কুমার সরকার,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

নওগাঁর ধামইরহাটের মেয়ে অশ্বারোহী তাসমিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জয়ের নেশায় ছুটছে ছোট বোন হালিমা খাতুন (১৪)। নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অংশ নিচ্ছে হালিমা। গত বুধবার বিকেলে ধামইরহাট উপজেলার ফার্শিপাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সবার দৃষ্টি কাড়ে ঘোড়সওয়ার হালিমা। তাঁর ঘোড়দৌড় দেখতে ভিড় করে হাজারো মানুষ। ধামইরহাট উপজেলা সদরের ফার্শিপাড়া মিনি স্টেডিয়ামসংলগ্ন ফসলি জমির মাঠে ধামইরহাট পৌর কৃষক দলের আয়োজনে গত বুধবার বিকেল চারটায় এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে হালিমাসহ দুটি গ্রুপে ৪০টি ঘোড়া অংশ নেয়। উভয় গ্রুপের প্রথম স্থান অধিকারীকে একটি করে টেলিভিশন ও বাকি দুজনকে একটি করে মুঠোফোন উপহার দেওয়া হয়।প্রতিযোগিতায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বগুড়া, জয়পুরহাট, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি ৪০টি ঘোড়া নিয়ে আসেন। তবে শিশু–কিশোরদের দিয়ে এ ধরনের খেলায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ধামাইরহাট উপজেলার চকসবুল গ্রাম থেকে একটি ঘোড়া নিয়ে এসেছিলেন ওবায়দুল হক। তাঁর মেয়ে হালিমা খাতুন সেই ঘোড়ার সওয়ার। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সবার দৃষ্টি কাড়ে কিশোরী হালিমা। ঘোড়া ছুটিয়ে ‘খ’ গ্রুপে দ্বিতীয় হয় সে। হালিমা ঘোড়সওয়ার তাসমিনা আক্তারের ছোট বোন। তাসমিনাকে নিয়ে ২০১৫ সালে ‘এক দুঃখী ঘোড়সওয়ারের গল্প’ শিরোনামে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। খবরটি প্রকাশের পর গাজীপুরের ঘোড়াখামারি উলফত কাদের তাকে ঘোড়া উপহার দেন। পরে প্রথম আলোর পক্ষ থেকেও তাসমিনাকে ঘোড়া কিনে দেওয়া হয়। তাকে নিয়ে নির্মাণ করা হয় প্রামাণ্যচিত্র। প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হলে তাসমিনার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে।তাসমিনা এখন ধামইরহাট সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার ছোট বোন হালিমা ধামইরহাট উপজেলার শঙ্করপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাসমিনারা তিন বোন ও দুই ভাই। বাবা ওবায়দুল হক একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। মাছ ব্যবসার পাশাপাশি তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য ঘোড়া পোষেন। তাসমিনার বাবা ওবায়দুল হক বলেন, ‘তাসমিনার মতো আমার ছোট মেয়ে হালিমারও প্রতিযোগিতায় ঘোড়া ছোটানোর শখ। প্রতিযোগিতায় জয়ী হলে মানুষের হাততালি পায়, মানুষ তাকে ভালোবাসে, এটাই তার আনন্দ। মেয়েকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটতে হয়। এ বছর ২০টির মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ১০টিতে প্রথম হয়েছে সে।