
কাজী মোস্তফা রুমি:
সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা। দেবী সরস্বতী বিদ্যার দেবী নামে বেশি সমাদৃত। এটি মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসব। এ উৎসবটি বাণী অর্চনা নামেও পরিচিত। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়। এই তিথিটি শ্রী পঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। শ্রীপঞ্চমীর দিন খুব ভোরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সনাতন ধর্মালম্বীদের বাসা-বাড়িতে, হিন্দু পাড়া-মহল্লা, সার্বজনীন পূজামন্ডপ ও মন্দির প্রাঙ্গণে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়।
‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে, বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাংদেহী নমহস্তুতে’ এই মন্ত্র উচ্চারণ করে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান ও বিদ্যা অর্জনের জন্য সরস্বতী দেবীর আরাধনা করে।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে,পঞ্চমী তিথি শেষ হয় ৩ ফেব্রুয়ারি’২৫ সকাল ৬ টা ৫৩ মিনিটে। মাহেন্দ্রযোগ বেলা ১২টা ৫৬ মিনিট ৬ সেকেন্ড থেকে ১টা ৪০ মিনিট ১ সেকেন্ড। উক্ত তিথির মধ্যেই পূজা ও পূষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আজ ৩ফেব্রুয়ারি’২৫ রোজ সোমবার সনাতন ধর্মের শাস্ত্রীয় মতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ছাড়াও নাগরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক স্কুল সরকারি যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর ১২৫তম বাৎসরিক সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে।
বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়। রংবেরঙের পোশাক পরিধান করে বিদ্যালয় অধ্যায়নরত সনাতন ধর্মের ছাত্রছাত্রীরা অঞ্জলিতে অংশগ্রহণ করে।
পূজা উদযাপন বিষয়ে সরকারি যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম সবুজ গণমাধ্যমকে বলেন- হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রীয় মতে প্রতিষ্ঠানে ১২৫তম বাৎসরিক সরস্বতী পূজা উদযাপিত হল। বিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী এবং ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় অত্যন্ত সুন্দর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপিত হয়েছে।
আমি আন্তরিকভাবে পূজা উদযাপনে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি সকলকে বিদ্যালয়ের পক্ষ হতে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, নাগরপুর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে।