
রাণীগঞ্জে দোষ চাপিয়ে নৌকার মাঝি থেকে চাঁদা আদায় করে বিরিয়ানি পার্টি
বার্তা ডেস্ক:-দৈনিক চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা
গাজীপুর জেলার রাণীগঞ্জ বাজারের পাশে খেয়াঘাটের মাঝি থেকে চাঁদা নিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার পার্টির আয়োজন করেছে কথিত বিএনপির অংঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নাম নারী নেতৃত্ব দানকারী চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিতে সেরা লোক ও নিজেকে বিএনপির অন্যতম নেতা পরিচয় দেওয়া হেলাল উদ্দিন হেলাল।
সুত্র জানায়, গত ৪ জানুয়ারি রাণীগঞ্জ বটতলা নির্মিত সেতুরচ নদীর পূর্ব পাড় থেকে ব্রিজের রড/লোহা ভাংগারী সংবলিত মালামাল নিয়ে নৌকায় বহন করে রাণীগঞ্জ বাজারে ভাংগারী দোকানে নিয়ে আসার পর পার্শ্ববর্তী আড্ডারত কয়েকজনের কাছে দুই জন ধরা পড়েন।
এ-সময় বাজারের কয়েকজন তত্বা কথিত বিএনপির নেতাকর্মী ধরপাকরে কিছু হাদিয়া (টাকা) রেখে এবং ঘটনার বিবরণী জেনে তারা চোর কে ছেড়ে দেয় এবং ব্রিজ কর্তৃপক্ষকে মালামাল বুঝি দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে জানান,
চুরি কৃত মালামাল নদী পার করে দেয় বাবুল নামে এক নৌকার মাঝি। কথিত বিএনপি নেতা ও খেয়াঘাটের ইজারাদার হেলাল খান এর নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে মাঝি বাবুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে ধরপাকর করেন এবং বাড়িতেই আটক করে রাখেন।
বাবুল মাঝি রাতে দু’জন লোক কে বস্তুা ভরা মালামাল সহ নদী পার করে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন এবং বস্তার মালামালের বিষয়ে অবগত নন বলে দাবী করেন।
একপর্যায়ে কথিত বিএনপির নেতারা বাবুল মাঝি কে চুরির সাথে জরিত বলে অপদস্ত করে এবং ছাড় পেতে হলে পঞ্চাশ (৫০) হাজার টাকা ছেলেপেলেদের খরচের জন্য চাঁদা দাবী করেন। অন্যথায় তাকে পুলিশে দিবে এবং ঘাটে তার সন্তান সহ নৌকা চালানো বন্ধ করার হুমকি দেন।
ঘরে টাকা নেই এবং এতো টাকা (৫০হাজার) জোগাড় করা সম্ভব নয় বলে বউ সহ হেলাল খানের পায়ে লুটিয়ে পড়েন বাবুল মাঝি।
এমতাবস্থায় বাবুল মাঝির বউয়ের কানে স্বর্ণের দুল দেখে বলে তোর বউয়ের কানের জিনিস এবং গলার জিনিস দে বা বিক্রি করে টাকা দে তোকে বাচিয়ে দেই।
নিরুপায় হয়ে বউয়ের কানের দুল বিক্রি করে এবং দাঁড় দেনা করে বিশ (২০) হাজার টাকা জোগাড় করেন।
এই টাকা দিয়ে নৌকা চালানো বন্ধ না করতে এবং আর বিপদে না ফালানোর জন্য পায়ে ধরে ক্ষমা চান বাবুল মাঝি।
এই বিষয়ে মুখ না খোলার সতর্ক শর্তে টাকা নেন হেলাল
সেই_টাকায় ৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে রাণীগঞ্জ বাজার ঘাটপাড়স্থ ফারুক এর মিষ্টি দোকানে কথিত বিএনপির নেতা হেলাল খানের নেতৃত্বে শরিফ ফকির, আশিক, কালাম, শকিব, শরিফ, আলম, নাজমুল সহ ২০/২৫ জন বিরিয়ানির পার্টি করেন। এবং আরও কিছু নেতাকর্মী মিষ্টির দোকানে না আসায় তাদের পার্সেলের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়।