
দিনে রাতে হরিরামপুরের অ্যামাজনখ্যাত জঙ্গলে মাটি কেটে দংশ করছে বনভূমি
মানিকগঞ্জ থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর হারুকান্দি ইউনিয়নের পদ্মানদীর তীরবর্তী চরকান্দি গ্রামে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা অ্যামাজনখ্যাত জঙ্গলের মাটি দিনে ও রাতের আধারে লুট করে অন্যত্র বিক্রয় করছে একটি প্রভাবশালী মহল। গত এক বছরে মাটি লুটের কারণে অ্যামাজনখ্যাত এই জঙ্গলের এড়িয়া কয়েক কিলোমিটার থেকে আধা কিলোমিটার এড়িয়ায় নেমে এসেছে। আর প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছগুলোও যার যার ইচ্ছেমত নিয়মিত লুটেও নিচ্ছে স্থানীয় কয়েকজন কৃষকসহ প্রভাবশালী একটি মহল। এছাড়া উক্ত স্থানের পাশে বিস্তীর্ণ ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে বিক্রয় করছে চরকান্দি গ্রামের খন্দকার আফছার উদ্দিন (আকমান) নামে কতিপয় ব্যক্তি।
এছাড়াও কিছুদিন পূর্বেও হরিরামপুরের অ্যামাজনখ্যাত জঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে মাটি কেটে বড় বড় পুকুরের ন্যায় করে ফেলেছে এই প্রভাব
শালী গোষ্ঠীর কয়েকজন। পদ্মানদীর কয়েক শ মিটারের কাছ থেকে মাটি কাটায় হুমকির মুখে পরেছে উপজেলা রক্ষাবাধ। উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পরেন বলে জানা যায়। তাছাড়া, মাঝে মধ্যে দু একটা মাহিন্দ্রা, ড্রাম ট্রাক থানায় আটক করা হলেও অদৃশ্য কারণে তা ছেরে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর দু একজন প্রশাসনিক কর্মচারী এই মাটি কাটার সাথে জরিত বলেও জানিয়েছেন জমির মালিকসহ স্থানীয় কয়েকজন। কিছুদিন পূর্বে কয়েকজন পরিবেশ কর্মী উক্ত স্থানের মাটি কাটা বন্ধ করলেও আবার তারা অদৃশ্য কারণে শুরু হয়। কাউকে তোয়াক্কা না করেই ফসলি জমির মাটি লুট করে বিক্রয় করছে নিয়মিত।
সরেজমিনে অ্যামাজনখ্যাত জঙ্গলের পাশে মাটি কাটার সময় মাহিন্দ্রা চালক বালিরটেক গ্রামের জুবায়ের জানান, আকমানের কাছ থেকে এই জমির মাটি কিনেছেন তারা। চানপুরে উজ্জল আমাকে ভাড়া করে আনছে। মাটি উজ্জলের বাড়িতে যাবে।
চরকান্দি গ্রামের আকমানের ভাই আব্দুর রহমান ফসলি জমির মাটি কেন কাটছেন মর্মে বক্তব্য নিতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার ভাই ইউএনওর কাছ থেকে অনুমতি নিছে। এই জমির মাটি এক ফুট কেটে চাষাবাদের উপযোগী করবো। মাটি কেটে পুকুর করেছেন কেন জানতে চাইলে সংবাদকর্মীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
খন্দকার আফছার উদ্দিন (আকমান) কে বক্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার মুঠোফোনে বলেন, আপনার মাধ্যমে শুনলাম। আমি নতুন আসছি, এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। পরবর্তীতে অভিযানের খবর পেয়ে সটকে পড়েন এবং কাউকে পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।