8:01 pm, Sunday, 27 April 2025

কবর থেকে জুলাই বিপ্লবে শহীদ আল আমিনের লাশ উত্তোলন স্থগিত

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:44:13 pm, Monday, 17 February 2025
  • 28 Time View

কবর থেকে জুলাই বিপ্লবে শহীদ আল আমিনের লাশ উত্তোলন স্থগিত

রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

গত বছর জুলাই’২০২৪ বিপ্লব আন্দোলনে ৫ আগস্ট বিকেলে ঢাকাস্থ সাভারে বিজয় উল্লাসে আনন্দ মিছিল চলা কালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের আল আমিন ইসলাম শহীদ হন।
এ ঘটনায় শহীদ আল আমিনের পিতা ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক সেতু মন্ত্রী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১১৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করলে ১৫(৮)২৪ নম্বর হত্যা মামলা রুজু হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় ঐ দিন বিকেলে সাভার শহরে বিজয় মিছিল চলাকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আল আমিনকে তার বন্ধুরা এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

সংবাদ পেয়ে বাবা-মা-ভাই-বোন সেখানে গিয়ে শহীদ আল আমিনকে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় দেখতে পান। তারা সপরিবারে সাভারে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত।
তারা মৃত্যুর সনদ নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শহীদের লাশ গ্রামের বাড়ী ডাবরা জিনেশ্বরীতে এনে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করেন এবং পরবর্তীতে সাভার মডেল থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।

রেকর্ডকৃত মামলার সঠিক তদন্তের স্বার্থে লাশের ময়না তদন্ত প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে বিজ্ঞ আদালত সংশ্লিষ্টদের কে কবর থেকে শহীদের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন।

নির্দেশ মোতাবেক আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি’২০২৫ দুপুরে মামলার তদন্তকারী অফিসার ইমরান হোসেন সাভার থেকে ঘটনাস্থলে এসে বীরগঞ্জের এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর বর্মন এবং থানা পুলিশের সহায়তায় লাশ উত্তোলনের জন্য উপস্থিত হলে শহীদ আল আমিনের পিতা বাদী ওয়াজেদ আলী এবং তাদের পরিবারের লোকজন লিখিত আবেদনে অসম্মতি জানান। ফলে লাশ উত্তোলন স্থগিত করা হয়।

সে সময় বীরগঞ্জ থানার এএসআই মোহাম্মদ আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের আইয়ুব, গোয়েন্দা পুলিশ হাবিবুর রহমান হাবিব, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর বর্মন সাংবাদিকদের জানান বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থলে আসি কিন্তু মামলার বাদী শহীদ আল আমিনের পিতা এবং পরিবারের লোকজন লিখিতভাবে অসম্মতি জানান, পরবর্তী নির্দেশের জন্য তিনি প্রতিবেদন আকারে আদালতে রিপোর্ট পেশ করবেন।

তিনিসহ উপস্থিত সকলে শহীদ আল আমিনের কবরের পাশে দাড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

নার্সিং ডিপ্লোমাকে স্নাতক ডিগ্রি সম্মাননা দাবিতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

কবর থেকে জুলাই বিপ্লবে শহীদ আল আমিনের লাশ উত্তোলন স্থগিত

Update Time : 06:44:13 pm, Monday, 17 February 2025

কবর থেকে জুলাই বিপ্লবে শহীদ আল আমিনের লাশ উত্তোলন স্থগিত

রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

গত বছর জুলাই’২০২৪ বিপ্লব আন্দোলনে ৫ আগস্ট বিকেলে ঢাকাস্থ সাভারে বিজয় উল্লাসে আনন্দ মিছিল চলা কালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের আল আমিন ইসলাম শহীদ হন।
এ ঘটনায় শহীদ আল আমিনের পিতা ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক সেতু মন্ত্রী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১১৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করলে ১৫(৮)২৪ নম্বর হত্যা মামলা রুজু হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় ঐ দিন বিকেলে সাভার শহরে বিজয় মিছিল চলাকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আল আমিনকে তার বন্ধুরা এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

সংবাদ পেয়ে বাবা-মা-ভাই-বোন সেখানে গিয়ে শহীদ আল আমিনকে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় দেখতে পান। তারা সপরিবারে সাভারে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত।
তারা মৃত্যুর সনদ নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শহীদের লাশ গ্রামের বাড়ী ডাবরা জিনেশ্বরীতে এনে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করেন এবং পরবর্তীতে সাভার মডেল থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।

রেকর্ডকৃত মামলার সঠিক তদন্তের স্বার্থে লাশের ময়না তদন্ত প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে বিজ্ঞ আদালত সংশ্লিষ্টদের কে কবর থেকে শহীদের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন।

নির্দেশ মোতাবেক আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি’২০২৫ দুপুরে মামলার তদন্তকারী অফিসার ইমরান হোসেন সাভার থেকে ঘটনাস্থলে এসে বীরগঞ্জের এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর বর্মন এবং থানা পুলিশের সহায়তায় লাশ উত্তোলনের জন্য উপস্থিত হলে শহীদ আল আমিনের পিতা বাদী ওয়াজেদ আলী এবং তাদের পরিবারের লোকজন লিখিত আবেদনে অসম্মতি জানান। ফলে লাশ উত্তোলন স্থগিত করা হয়।

সে সময় বীরগঞ্জ থানার এএসআই মোহাম্মদ আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের আইয়ুব, গোয়েন্দা পুলিশ হাবিবুর রহমান হাবিব, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর বর্মন সাংবাদিকদের জানান বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থলে আসি কিন্তু মামলার বাদী শহীদ আল আমিনের পিতা এবং পরিবারের লোকজন লিখিতভাবে অসম্মতি জানান, পরবর্তী নির্দেশের জন্য তিনি প্রতিবেদন আকারে আদালতে রিপোর্ট পেশ করবেন।

তিনিসহ উপস্থিত সকলে শহীদ আল আমিনের কবরের পাশে দাড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।