9:05 am, Wednesday, 29 October 2025

রহমতের ১০ দিনের মধ্যে পঞ্চম দিন শুরু হতে যাচ্ছে

রহমতের ১০ দিনের মধ্যে পঞ্চম দিন শুরু হতে যাচ্ছে !

নিজস্ব প্রতিবেদক

বলেন ইসলামীক স্কলার মাওলানা জীবন দেওয়ান উজ্জ্বল আল কাদেরী, পবিত্র রমজানের রহমতের তৃতীয় দিন আজ। সর্বজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময় মহান আল্লাহতায়ালা এ পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন এর কোনোটিই অনর্থক ও উদ্দেশ্যবিহীন নয়। তিনি উদ্দেশ্যবিহীনভাবে কোনো কিছুই সৃষ্টি করেননি। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ পাক আল-কোরআনে ইরশাদ করেছেন, আমি মানুষ এবং জীনকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। (সুরা জারিয়াত, আয়াত-৫৬) এর দ্বারা বুঝা যায়, আল্লাহর ইবাদতবিমুখ মানুষ আল্লাহ পাকের নাফরমান বান্দা ছাড়া কিছুই নয়। ইবাদতের জন্য মাহে রমজান মাসে হচ্ছে মোক্ষম সময়।

এ মাসের সিয়াম সাধনা তাকওয়া ও পরহেজগারি অর্জন করা, রাত জেগে নামাজ আদায় করা, সেহরি খাওয়া, ইফতার করা এবং যাবতীয় পাপাচার ও কামাচার হতে বিরত থাকা এবং মিথ্যা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বর্জন করা- সবই ইবাদতের মধ্যে শামিল। শুধু তাই নয়, এ মাসে অধিক হার কোরআন মজিদ তেলাওয়াত করা, জিকির ও তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করা এবং নিজেকে পাপমুক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা কর্তব্য। মোটকথা মাহে রমজান নেকি ও পূণ্য অর্জনের উপযুক্ত মৌসুম। কারণ সিয়াম সাধনার মাঝে এমন কিছু বিশেষত্ব রয়েছে, যা অন্য ইবাদতের মধ্যে পাওয়া যায় না। আর এজন্যই এর সওয়াব ও বিনিময়ের ব্যাপারটি আল্লাহ নিজের কাছে রেখেছেন এবং এর পরিমাণ কতটুকু হবে এবং কী পরিমাণ বর্ধিত করা হবে, তাও নির্দিষ্ট করেননি।

আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে: আল্লাহ পাক যাকে চান বহুগুণে সওয়াব বর্ধিত করেন। (সুরা বাকারাহ, আয়াত-২৬১) মহান আল্লাহ সিয়াম সাধনাকারীর তাকওয়া, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং একাগ্রতার মানদণ্ড অনুসারেই রোজার প্রতিদান প্রদানের ব্যাপারে হ্রাস-বৃদ্ধি করে থাকেন। বস্তুত সিয়াম সাধনার বিনিময় বা পুরস্কার একান্তভাবে আল্লাহতায়ালার ইচ্ছার ওপরই নির্ভরশীল। তিনি প্রজ্ঞাময় সর্বদ্রষ্টা ও ন্যায় বিচারক। তার পক্ষে সবকিছুর সূক্ষাতিসূক্ষ্ম পরিমাণ নির্ধারণ করা ও একে বহুগুণে বৃদ্ধি করা মোটেই কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। বরং এ কাজ তার জন্য খুবই সহজ, তিনি প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞাময়, তার ভাণ্ডরে কোনো কিছুই কমতি নেই।

অতএব মহান আল্লাহর দরবারে সিয়াম সাধনার ভেতর দিয়ে মুমিন বান্দাদের জন্য মুক্তি-নিষ্কৃতি ও অসীম সওয়াব লাভের যে সুবর্ণ সুযোগ উপস্থিত হয় তা নষ্ট করা কিছুতেই সমীচীন নয়। মাহে রমজান মুমিন বান্দার জন্য এমন একটি নিয়ামত, যার শোকরগুজারি একমাত্র ইবাদত বন্দেগি, সিয়াম-সাধনা এবং তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমেই সম্ভব। আল্লাহ পাক আমদের সকলকে উপরোক্ত আলোচনা গুলোর প্রতি গুরুত্ব সহকারে আমল করার চেষ্টা করি এবং আল্লাহ পাক আমাদের সকল কে তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট মাওলানা জীবন দেওয়ান উজ্জ্বল আল কাদেরী,কুমড়ি ছদরিয়া দারু সালাম মাদ্রাসা সাবেক ইমাম ভূটিয়ার কোনা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাধারণ সম্পাদক, মাদারীপুর-২ আসনে,মনোনয়ন প্রত্যাশী,হিমেল আল ইমরান গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

রহমতের ১০ দিনের মধ্যে পঞ্চম দিন শুরু হতে যাচ্ছে

Update Time : 08:44:51 pm, Wednesday, 5 March 2025

রহমতের ১০ দিনের মধ্যে পঞ্চম দিন শুরু হতে যাচ্ছে !

নিজস্ব প্রতিবেদক

বলেন ইসলামীক স্কলার মাওলানা জীবন দেওয়ান উজ্জ্বল আল কাদেরী, পবিত্র রমজানের রহমতের তৃতীয় দিন আজ। সর্বজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময় মহান আল্লাহতায়ালা এ পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন এর কোনোটিই অনর্থক ও উদ্দেশ্যবিহীন নয়। তিনি উদ্দেশ্যবিহীনভাবে কোনো কিছুই সৃষ্টি করেননি। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ পাক আল-কোরআনে ইরশাদ করেছেন, আমি মানুষ এবং জীনকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। (সুরা জারিয়াত, আয়াত-৫৬) এর দ্বারা বুঝা যায়, আল্লাহর ইবাদতবিমুখ মানুষ আল্লাহ পাকের নাফরমান বান্দা ছাড়া কিছুই নয়। ইবাদতের জন্য মাহে রমজান মাসে হচ্ছে মোক্ষম সময়।

এ মাসের সিয়াম সাধনা তাকওয়া ও পরহেজগারি অর্জন করা, রাত জেগে নামাজ আদায় করা, সেহরি খাওয়া, ইফতার করা এবং যাবতীয় পাপাচার ও কামাচার হতে বিরত থাকা এবং মিথ্যা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বর্জন করা- সবই ইবাদতের মধ্যে শামিল। শুধু তাই নয়, এ মাসে অধিক হার কোরআন মজিদ তেলাওয়াত করা, জিকির ও তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করা এবং নিজেকে পাপমুক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা কর্তব্য। মোটকথা মাহে রমজান নেকি ও পূণ্য অর্জনের উপযুক্ত মৌসুম। কারণ সিয়াম সাধনার মাঝে এমন কিছু বিশেষত্ব রয়েছে, যা অন্য ইবাদতের মধ্যে পাওয়া যায় না। আর এজন্যই এর সওয়াব ও বিনিময়ের ব্যাপারটি আল্লাহ নিজের কাছে রেখেছেন এবং এর পরিমাণ কতটুকু হবে এবং কী পরিমাণ বর্ধিত করা হবে, তাও নির্দিষ্ট করেননি।

আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে: আল্লাহ পাক যাকে চান বহুগুণে সওয়াব বর্ধিত করেন। (সুরা বাকারাহ, আয়াত-২৬১) মহান আল্লাহ সিয়াম সাধনাকারীর তাকওয়া, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং একাগ্রতার মানদণ্ড অনুসারেই রোজার প্রতিদান প্রদানের ব্যাপারে হ্রাস-বৃদ্ধি করে থাকেন। বস্তুত সিয়াম সাধনার বিনিময় বা পুরস্কার একান্তভাবে আল্লাহতায়ালার ইচ্ছার ওপরই নির্ভরশীল। তিনি প্রজ্ঞাময় সর্বদ্রষ্টা ও ন্যায় বিচারক। তার পক্ষে সবকিছুর সূক্ষাতিসূক্ষ্ম পরিমাণ নির্ধারণ করা ও একে বহুগুণে বৃদ্ধি করা মোটেই কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। বরং এ কাজ তার জন্য খুবই সহজ, তিনি প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞাময়, তার ভাণ্ডরে কোনো কিছুই কমতি নেই।

অতএব মহান আল্লাহর দরবারে সিয়াম সাধনার ভেতর দিয়ে মুমিন বান্দাদের জন্য মুক্তি-নিষ্কৃতি ও অসীম সওয়াব লাভের যে সুবর্ণ সুযোগ উপস্থিত হয় তা নষ্ট করা কিছুতেই সমীচীন নয়। মাহে রমজান মুমিন বান্দার জন্য এমন একটি নিয়ামত, যার শোকরগুজারি একমাত্র ইবাদত বন্দেগি, সিয়াম-সাধনা এবং তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমেই সম্ভব। আল্লাহ পাক আমদের সকলকে উপরোক্ত আলোচনা গুলোর প্রতি গুরুত্ব সহকারে আমল করার চেষ্টা করি এবং আল্লাহ পাক আমাদের সকল কে তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট মাওলানা জীবন দেওয়ান উজ্জ্বল আল কাদেরী,কুমড়ি ছদরিয়া দারু সালাম মাদ্রাসা সাবেক ইমাম ভূটিয়ার কোনা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ।