
ডৌহাখলার আলো
কলমেঃ মিসেস বৃষ্টি চৌধুরী
ডৌহাখলা গৌরীপুর, ময়মনসিংহ
———————————
স্বল্প ডৌহাখলা গ্রামের সবুজ মাঠে, ব্রহ্মপুত্র নদীর ধারা বহে, এই গ্রামের পশ্চিম পাশে
পাখির ডাকে, কুয়াশা মাখা ভোরের রঙে দাহে।
সেইখানে এক আলোর দিশা—জীবন দেওয়ান উজ্জ্বল
১৯৬৩-তে জানুয়ারী তিন তারিখ প্রাণ।
পিতা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রশিদ, স্নেহময় সেই জন, মাতা মোছাঃ সারবানতহুরার
মায়ের কোলে মানুষ হয়ে ফুটলেন যেমন বন।
ধানের শিষে, নদীর গানে, গ্রামীণ সে ছায়া,
শিক্ষার পথে দীপ জ্বেলে চললেন আলোর মায়া।
১৯৮০ সালে উনার মামার বাড়ি থেকে রৌহা,এম এইচ মোল্লা একাডেমী বিদ্যালয়,
প্রথম বিভাগে এসএসসি—সবার নয়ন জুড়ায়।
মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি, ’৮২ সালে আলীম,৮৪ সালে ফাজিল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বপ্ন দিলো অমৃতময়।
১৯৮৬-এ ইসলামী ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকের সে ধারা,
লোক প্রশাসনে ’৮৬-এ হলো স্নাতকোত্তর সারা।
সহকারী কালেক্টর হয়ে যোগ দিলেন তরে,
বিসিএসের মর্যাদাতে দেশসেবার নেশায় ঘরে।
পদে পদে উন্নতি পেয়ে মানবাধিকার কমিশনে নাম,
শুল্ক মহাপরিচালক—গৌরব তার ধাম।
অবসরে আজ শান্ত সুধায় শেরপুর জেলা সদর উপজেলার বসে আছেন তিনি,
তবু আলো জ্বালেন সকল হৃদয়, গ্রামের মাটির ঋণী।
গৌরীপুর উপজেলার কৃতি সন্তান, খান বাড়ির গর্ব,
ডৌহাখলি মাটি ভিজিয়ে রেখেছে তাঁর সব।
নদীর ঢেউ, ধানের গন্ধ, মাঠের সবুজ আলো—
চিরদিনের দিশারী তিনি, “ডৌহাখলা আলো”। জাতীয় দৈনিক চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশ ও সম্পাদক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন,অবহেলীত যোদ্ধাহত প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রশিদ এর বড় ছেলে মাওঃ জীবন দেওয়ান উজ্জ্বল
———————————————–
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 


























