12:15 am, Tuesday, 28 October 2025

১৩ নভেম্বর ২০২৫ শেখ হাসিনা সহ ০৩‌ জনের মামলার রায় ঘোষণা

১৩ নভেম্বর ২০২৫ শেখ হাসিনা সহ ০৩‌ জনের মামলার রায় ঘোষণা

আব্দুল হালিম, স্টাফ রিপোর্টার

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর এই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার শেষ দিনের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অপর আসামিরা হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও এই মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান খান ট্রাইব্যুনালকে জানান, গণহত্যা চালিয়ে শেখ হাসিনার পলায়নের ঘটনা প্রবাহ থেকেই তার অপরাধ প্রমাণিত হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যা হয়েছে। তবে পতিত সরকারের লোকজন চলমান বিচার কার্যক্রম ব্যাহত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা সহ আসামিদের বিচার না হলে জুলাই শহীদ-আহতদের ওপর অবিচার করা হবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ভাবে অপরাধ প্রমাণে প্রসিকিউশন সক্ষম হয়েছে। উপস্থাপন করা ফোন কল রেকর্ডগুলো বিদেশি সংস্থার দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছে। উপস্থাপিত প্রমাণগুলো দিয়ে বিশ্বের যেকোনো আদালতে অপরাধ প্রমাণ হবে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থণা করছি।
যুক্তিতর্কে রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন জানান, শেখ হাসিনা পালাননি। তিনি দেশ ছাড়তেও চাননি, তাকে বাধ্য করা হয়েছে।
বুধবার এই মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। পরে প্রসিকিউশন যুক্তিখণ্ডন করে। এরই ধারাবাহিকতায় এই মামলার সর্বশেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন
এছাড়াও জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার, আহত ব্যক্তি, চিকিৎসকসহ ৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্যে উঠে আসে, জুলাই গণহত্যা-নৃশংসতা, আওয়ামী লীগ আমলের গুম-খুনসহ নির্যাতনের নানা বিষয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায়। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনেধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সর্বস্তরের জনসাধারনকে সংগ্রামী সালাম, আদাব ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

১৩ নভেম্বর ২০২৫ শেখ হাসিনা সহ ০৩‌ জনের মামলার রায় ঘোষণা

Update Time : 11:38:22 pm, Thursday, 23 October 2025

১৩ নভেম্বর ২০২৫ শেখ হাসিনা সহ ০৩‌ জনের মামলার রায় ঘোষণা

আব্দুল হালিম, স্টাফ রিপোর্টার

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর এই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার শেষ দিনের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অপর আসামিরা হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও এই মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান খান ট্রাইব্যুনালকে জানান, গণহত্যা চালিয়ে শেখ হাসিনার পলায়নের ঘটনা প্রবাহ থেকেই তার অপরাধ প্রমাণিত হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যা হয়েছে। তবে পতিত সরকারের লোকজন চলমান বিচার কার্যক্রম ব্যাহত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা সহ আসামিদের বিচার না হলে জুলাই শহীদ-আহতদের ওপর অবিচার করা হবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ভাবে অপরাধ প্রমাণে প্রসিকিউশন সক্ষম হয়েছে। উপস্থাপন করা ফোন কল রেকর্ডগুলো বিদেশি সংস্থার দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছে। উপস্থাপিত প্রমাণগুলো দিয়ে বিশ্বের যেকোনো আদালতে অপরাধ প্রমাণ হবে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থণা করছি।
যুক্তিতর্কে রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন জানান, শেখ হাসিনা পালাননি। তিনি দেশ ছাড়তেও চাননি, তাকে বাধ্য করা হয়েছে।
বুধবার এই মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। পরে প্রসিকিউশন যুক্তিখণ্ডন করে। এরই ধারাবাহিকতায় এই মামলার সর্বশেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন
এছাড়াও জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার, আহত ব্যক্তি, চিকিৎসকসহ ৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্যে উঠে আসে, জুলাই গণহত্যা-নৃশংসতা, আওয়ামী লীগ আমলের গুম-খুনসহ নির্যাতনের নানা বিষয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায়। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।