5:08 pm, Monday, 27 October 2025

টানা বৃষ্টির ফলে কলা বিক্রেতা ক্রেতাদের অস্বস্তিত বিক্রেতাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা

টানা বৃষ্টির ফলে কলা বিক্রেতা ক্রেতাদের অস্বস্তিত বিক্রেতাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা

সমরেশ রায় পশ্চিম বঙ্গ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি

আজ আজ ২৬ শে অক্টোবর রবিবার।, রাত পোহালেই ছট পুজো, আর এই ছট পুজো বিহারী সম্প্রদায়ের বড় উৎসব,
তাই আজ বাজারে বাজারে জমে উঠেছে বিহারী সম্প্রদায়ের পূজোর উপকরণ কেনার ভিড়।
কিন্তু টানা বৃষ্টিতে বাজারে জল জমে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মাথায় হাত, এতটাই জল জমে গিয়েছে এবং বৃষ্টি না থামায় দূর দূরান্ত থেকে কেনাকাটা করতে এসে পরিবার নিয়ে আটকে পড়েছেন, তাহাদের চিন্তা কখন কেনাকাটা করবেন আর বাড়ি ফিরবেন। বৃষ্টির জলে বাজারে সাজানো ফলমূল বেশিরভাগ জলে ডুবে গিয়েছে। কেউ কেউ বৃষ্টিতে ভিজে বাধ্য হচ্ছেন কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে।

বাঙ্গালীদের বড় উৎসব যেমন দুর্গা পুজো, কালীপুজো, জগধাত্রী পুজো, বাঙালিরা যেমন নতুন জামা কাপড় পড়ে পুজো কদিন আনন্দ উপভোগ করেন, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে নিত্য নতুন জায়গায় ঘোড়া এবং ঠাকুর দেখা, চলে একমাস ধরে নতুন জামা প্যান্ট কেনাকাটা।

বাজারে গিয়ে দেখা গেল ছট পূজোর জিনিসপত্রের দাম আগুন।
একটা কলার কাঁদির দাম মিনিমাম ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা,
একটা গোটা আঁখ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। একটা নারকেল ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ফলের দাম মিনিমাম দেড়শ টাকা থেকে আড়াইশো টাকা, এছাড়াও ফুলের দাম গাঁদা ফুলের মালা দাম এক পিস আশি টাকা থেকে ১০০ টাকা, আদা গাছ এক ডজন ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা।
কিন্তু দাম বাড়লেও কিছু করার নাই, ক্রেতারা চেষ্টা করছেন মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য যতটা সম্ভব কেনার।

তেমনি বিহারী সম্প্রদায়ের এই ছট পুজো হল বড় উৎসব, সকলের মেলবন্ধন, এই ছট পুজো উপলক্ষে বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে একত্রিত হয়, এমনকি এই পুজোতে নতুন জামা কাপড় পড়ে তারা গঙ্গাঘাটে বাজনা বাদ্যি সহকারে পুজো দিতে যান, এটি বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে বড় আনন্দ উৎসব, বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের ভিড়।

আর বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জানা গেল, তাদের এই উৎসবের মূল উপকরণ হল কলা কাঁদি আর আঁখের গাছ, এছাড়া কখনোই পুজো পরিপূর্ণ নয়, তাহার সাথে সাথে বিভিন্ন উপকরণও লাগে, বিভিন্ন ফল নারিকেল হলুদ গাছ থেকে শুরু করে অন্যান্য সামগ্রী, তাই তাহারা বলেন বাজার করার পর আমাদেরকে অনেক কিছু নিয়ম মেনে গোছগাছ করতে হয়। যাহাতে কোনরকম বাধার সম্মুখীন না হতে হয়। এই পুজোটাই আমাদের কাছে বড় পুজো।

তাহার সাথে সাথে তারা বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, এই ছট পুজোকে যেভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, যেভাবে বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন, আমরা কৃতজ্ঞ, বাঙ্গালীদের পূজোর সাথে সাথে আমাদের পূজোকেও সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।, আমাদের আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করেছেন, ধন্যবাদ জানাবো পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে কে এম সির অফিসারদের, যাহারা ঘাটে ঘাটে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, এবং আমাদের ছট পুজো শান্তিপূর্ণভাবে করার চেষ্টা করছেন, যাহাতে কোন রকম গন্ডগোলের সৃষ্টি না হয় তাহার উপর সতর্কতামূলক দৃষ্টি আকর্ষণ করায়। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাবো মহানগরী ফিরাদ হাকিমকে, এই ছট পুজোকে কেন্দ্র করে, প্রতিটি ঘাটে পরিদর্শনে যান। ধন্যবাদ জানাবো এলাকার সকল কাউন্সিলরদের

রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু

টানা বৃষ্টির ফলে কলা বিক্রেতা ক্রেতাদের অস্বস্তিত বিক্রেতাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা

Update Time : 10:23:47 pm, Sunday, 26 October 2025

টানা বৃষ্টির ফলে কলা বিক্রেতা ক্রেতাদের অস্বস্তিত বিক্রেতাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা

সমরেশ রায় পশ্চিম বঙ্গ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি

আজ আজ ২৬ শে অক্টোবর রবিবার।, রাত পোহালেই ছট পুজো, আর এই ছট পুজো বিহারী সম্প্রদায়ের বড় উৎসব,
তাই আজ বাজারে বাজারে জমে উঠেছে বিহারী সম্প্রদায়ের পূজোর উপকরণ কেনার ভিড়।
কিন্তু টানা বৃষ্টিতে বাজারে জল জমে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মাথায় হাত, এতটাই জল জমে গিয়েছে এবং বৃষ্টি না থামায় দূর দূরান্ত থেকে কেনাকাটা করতে এসে পরিবার নিয়ে আটকে পড়েছেন, তাহাদের চিন্তা কখন কেনাকাটা করবেন আর বাড়ি ফিরবেন। বৃষ্টির জলে বাজারে সাজানো ফলমূল বেশিরভাগ জলে ডুবে গিয়েছে। কেউ কেউ বৃষ্টিতে ভিজে বাধ্য হচ্ছেন কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে।

বাঙ্গালীদের বড় উৎসব যেমন দুর্গা পুজো, কালীপুজো, জগধাত্রী পুজো, বাঙালিরা যেমন নতুন জামা কাপড় পড়ে পুজো কদিন আনন্দ উপভোগ করেন, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে নিত্য নতুন জায়গায় ঘোড়া এবং ঠাকুর দেখা, চলে একমাস ধরে নতুন জামা প্যান্ট কেনাকাটা।

বাজারে গিয়ে দেখা গেল ছট পূজোর জিনিসপত্রের দাম আগুন।
একটা কলার কাঁদির দাম মিনিমাম ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা,
একটা গোটা আঁখ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। একটা নারকেল ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ফলের দাম মিনিমাম দেড়শ টাকা থেকে আড়াইশো টাকা, এছাড়াও ফুলের দাম গাঁদা ফুলের মালা দাম এক পিস আশি টাকা থেকে ১০০ টাকা, আদা গাছ এক ডজন ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা।
কিন্তু দাম বাড়লেও কিছু করার নাই, ক্রেতারা চেষ্টা করছেন মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য যতটা সম্ভব কেনার।

তেমনি বিহারী সম্প্রদায়ের এই ছট পুজো হল বড় উৎসব, সকলের মেলবন্ধন, এই ছট পুজো উপলক্ষে বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে একত্রিত হয়, এমনকি এই পুজোতে নতুন জামা কাপড় পড়ে তারা গঙ্গাঘাটে বাজনা বাদ্যি সহকারে পুজো দিতে যান, এটি বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে বড় আনন্দ উৎসব, বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের ভিড়।

আর বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জানা গেল, তাদের এই উৎসবের মূল উপকরণ হল কলা কাঁদি আর আঁখের গাছ, এছাড়া কখনোই পুজো পরিপূর্ণ নয়, তাহার সাথে সাথে বিভিন্ন উপকরণও লাগে, বিভিন্ন ফল নারিকেল হলুদ গাছ থেকে শুরু করে অন্যান্য সামগ্রী, তাই তাহারা বলেন বাজার করার পর আমাদেরকে অনেক কিছু নিয়ম মেনে গোছগাছ করতে হয়। যাহাতে কোনরকম বাধার সম্মুখীন না হতে হয়। এই পুজোটাই আমাদের কাছে বড় পুজো।

তাহার সাথে সাথে তারা বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, এই ছট পুজোকে যেভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, যেভাবে বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন, আমরা কৃতজ্ঞ, বাঙ্গালীদের পূজোর সাথে সাথে আমাদের পূজোকেও সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।, আমাদের আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করেছেন, ধন্যবাদ জানাবো পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে কে এম সির অফিসারদের, যাহারা ঘাটে ঘাটে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, এবং আমাদের ছট পুজো শান্তিপূর্ণভাবে করার চেষ্টা করছেন, যাহাতে কোন রকম গন্ডগোলের সৃষ্টি না হয় তাহার উপর সতর্কতামূলক দৃষ্টি আকর্ষণ করায়। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাবো মহানগরী ফিরাদ হাকিমকে, এই ছট পুজোকে কেন্দ্র করে, প্রতিটি ঘাটে পরিদর্শনে যান। ধন্যবাদ জানাবো এলাকার সকল কাউন্সিলরদের

রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ