8:57 pm, Monday, 27 October 2025

৭২ তম বর্ষে কালী প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন- অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার

৭২ তম বর্ষে কালী প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন- অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার

সমরেশ রায় পশ্চিম বঙ্গ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি

আজ ১৯শে অক্টোবর রবিবার, ঠিক সন্ধে আটটায়, পরুই দাসপাড়া রোড, তিনমাথা মোড়ের সংযোগস্থলে এবং পরুই অগ্রদূত সংঘের প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন– বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার, ফিতে কেটে এবং প্রদীপ প্রজ্জালনের মধ্য দিয়ে প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করেন।

এরপর সকল অতিথিদের মঞ্চে ডেকে, একে একে উত্তরীয় ও ব্যাচ পরিয়ে, হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান।

উপস্থিত ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের স্বনামধন্য অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার , যাহার প্রচুর সিনেমা মানুষের মনে দাগ কেটেছে, চিরদিনই তুমি যে আমার, ইউ লা লা, প্রিয়া রে , বর বউ খেলা , ঝিরি ঝিরি স্বপ্ন ঝরে সহ একাধিক ছবি।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি এবং ক্লাবের সভাপতি শ্রী পার্থ সরকার (ভজা দা), উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শীর্ষেন্দু চ্যাটার্জী, ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সভানেত্রী অস্মিতা বোস, উপস্থিত ছিলেন দিব্যেন্দু চ্যাটার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও ক্লাবের সকল সদস্যগণ।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে, অভিনেত্রী সহ সভাপতি ও ক্লাবের উদ্যোক্তা কয়েকটি কথা উল্লেখ করেন।, তাহার সাথে সাথে সকল দর্শক ও এলাকার অধিবাসীবৃন্দদের দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানান, আর একটি বার্তায় দিলেন, আনন্দ করুন দীপাবলি উৎসবে মেতে উঠুন, কিন্তু ছোট ছোট পরিবারের বাচ্চাদের সামলে রাখুন।

বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী, প্রিয়াঙ্কা সরকার বলেন, আমি সত্যিই অভিভূত, এরকম একটি পুজোতে এসে, যেভাবে এখানকার মহিলারা আনন্দ উৎসবের মুখর হয়ে উঠেছে, ক্লাব প্রাঙ্গণকে আলোকিত করে তুলেছে না আসলে এটা কখনোই বুঝতে পারতাম না, শুধু একটা কথাই বলবো দীপাবলীর আনন্দে মেতে উঠুন কিন্তু আনন্দ যেন নিরানন্দের কারণ না হয়ে ওঠে।

ক্লাবের উদ্যোক্তা বলেন, দেখতে দেখতে ৭২ তম বর্ষে পদার্পণ করলাম, আমাদের পুজোয় শুধু পুরুষ রাই সহযোগিতা করেন তা নয়, আমাদের পুজোকে মাতিয়ে রাখেন এবং সহযোগিতায় সব সময় হাত বাড়িয়ে দেন আমাদের এখানকার মহিলারা, যাহারা এই কদিন আমাদের পুজোর সমস্ত দায়-দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন, ‌ আমাদের পুজ উপলক্ষে চলবে কয়েকদিন অনুষ্ঠান, ভোগ বিতরণ থেকে শুরু করে ম্যাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বস্ত্র বিতরণ সহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড। আর মহিলারা না থাকলে কখন এতো কিছু সম্ভব নয়, মহিলারা হচ্ছে দশোভূজা, তাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের কথা বেশি করে ভাবেন, তাহার ভাবনার মধ্য দিয়ে ও কাজ কর্মের মধ্য দিয়ে মহিলারা এগিয়ে চলেছেন। আজ দশ রূপে রুপিনী।

উদ্যোক্তার কাছে জানা গেলো, তাহারা শুধু বছরে কালীপুজো করে চুপ থাকেন না, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকেন সেখানেও মহিলারা সহযোগিতা করেন, রক্তদান থেকে শুরু করে, ফ্রি হেল্থ চেকআপ ক্যাম্প, এ্যম্বুলেন্স পরিষেবা, দুস্থদের পাশে দাঁড়ানো, বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো একাধিক কর্মকাণ্ডে, এছাড়াও তিনি বলেন আমাদের পুজো সাবেকি আনায়, প্রতিমা আমাদের একই রূপে আসে, শুধু প্যান্ডেলে থিমটা একটু রদবদল করি, আমাদের কালীমা প্রতিবছর স্থায়ী বেদীর উপরেই বসেন। আর একটা কথা বারবার বলবো, যদি এলাকাবাসী ও ক্লাবের সদস্য এবং এলাকার সকল মহিলারা যদি না সহযোগিতার হাত বাড়াতো, আমরা একটু একটু করে ৭২ তম বর্ষে পৌঁছাতে পারতাম না, আমাদের এলাকার সকল অধিবাসীবৃন্দ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে আনন্দ করেন। তাই সকল অধিবাসীবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞ। আর যাহারা আমাদেরকে বিজ্ঞাপন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাহাদের কাছেও আমরা চির কৃতজ্ঞ।, বিজ্ঞাপন দাতাদের সহযোগিতায় আমাদের পুজো একটু একটু করে বড় হয়ে উঠেছে ,এবং প্রতিবছর এলাকাবাসীকে আনন্দ দেওয়ার জন্য, আমরা চেষ্টা করি, প্রতি বছর সিনেমা ও সিরিয়াল জগতের অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের আনতে।‌ এলাকার সকল সদস্যকে আনন্দ দিতে। উৎসাহ দিতে।

রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড ছিল দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ

৭২ তম বর্ষে কালী প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন- অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার

Update Time : 11:55:03 pm, Sunday, 19 October 2025

৭২ তম বর্ষে কালী প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন- অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার

সমরেশ রায় পশ্চিম বঙ্গ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি

আজ ১৯শে অক্টোবর রবিবার, ঠিক সন্ধে আটটায়, পরুই দাসপাড়া রোড, তিনমাথা মোড়ের সংযোগস্থলে এবং পরুই অগ্রদূত সংঘের প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন– বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার, ফিতে কেটে এবং প্রদীপ প্রজ্জালনের মধ্য দিয়ে প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করেন।

এরপর সকল অতিথিদের মঞ্চে ডেকে, একে একে উত্তরীয় ও ব্যাচ পরিয়ে, হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান।

উপস্থিত ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের স্বনামধন্য অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার , যাহার প্রচুর সিনেমা মানুষের মনে দাগ কেটেছে, চিরদিনই তুমি যে আমার, ইউ লা লা, প্রিয়া রে , বর বউ খেলা , ঝিরি ঝিরি স্বপ্ন ঝরে সহ একাধিক ছবি।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি এবং ক্লাবের সভাপতি শ্রী পার্থ সরকার (ভজা দা), উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শীর্ষেন্দু চ্যাটার্জী, ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সভানেত্রী অস্মিতা বোস, উপস্থিত ছিলেন দিব্যেন্দু চ্যাটার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও ক্লাবের সকল সদস্যগণ।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে, অভিনেত্রী সহ সভাপতি ও ক্লাবের উদ্যোক্তা কয়েকটি কথা উল্লেখ করেন।, তাহার সাথে সাথে সকল দর্শক ও এলাকার অধিবাসীবৃন্দদের দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানান, আর একটি বার্তায় দিলেন, আনন্দ করুন দীপাবলি উৎসবে মেতে উঠুন, কিন্তু ছোট ছোট পরিবারের বাচ্চাদের সামলে রাখুন।

বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী, প্রিয়াঙ্কা সরকার বলেন, আমি সত্যিই অভিভূত, এরকম একটি পুজোতে এসে, যেভাবে এখানকার মহিলারা আনন্দ উৎসবের মুখর হয়ে উঠেছে, ক্লাব প্রাঙ্গণকে আলোকিত করে তুলেছে না আসলে এটা কখনোই বুঝতে পারতাম না, শুধু একটা কথাই বলবো দীপাবলীর আনন্দে মেতে উঠুন কিন্তু আনন্দ যেন নিরানন্দের কারণ না হয়ে ওঠে।

ক্লাবের উদ্যোক্তা বলেন, দেখতে দেখতে ৭২ তম বর্ষে পদার্পণ করলাম, আমাদের পুজোয় শুধু পুরুষ রাই সহযোগিতা করেন তা নয়, আমাদের পুজোকে মাতিয়ে রাখেন এবং সহযোগিতায় সব সময় হাত বাড়িয়ে দেন আমাদের এখানকার মহিলারা, যাহারা এই কদিন আমাদের পুজোর সমস্ত দায়-দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন, ‌ আমাদের পুজ উপলক্ষে চলবে কয়েকদিন অনুষ্ঠান, ভোগ বিতরণ থেকে শুরু করে ম্যাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বস্ত্র বিতরণ সহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড। আর মহিলারা না থাকলে কখন এতো কিছু সম্ভব নয়, মহিলারা হচ্ছে দশোভূজা, তাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের কথা বেশি করে ভাবেন, তাহার ভাবনার মধ্য দিয়ে ও কাজ কর্মের মধ্য দিয়ে মহিলারা এগিয়ে চলেছেন। আজ দশ রূপে রুপিনী।

উদ্যোক্তার কাছে জানা গেলো, তাহারা শুধু বছরে কালীপুজো করে চুপ থাকেন না, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকেন সেখানেও মহিলারা সহযোগিতা করেন, রক্তদান থেকে শুরু করে, ফ্রি হেল্থ চেকআপ ক্যাম্প, এ্যম্বুলেন্স পরিষেবা, দুস্থদের পাশে দাঁড়ানো, বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো একাধিক কর্মকাণ্ডে, এছাড়াও তিনি বলেন আমাদের পুজো সাবেকি আনায়, প্রতিমা আমাদের একই রূপে আসে, শুধু প্যান্ডেলে থিমটা একটু রদবদল করি, আমাদের কালীমা প্রতিবছর স্থায়ী বেদীর উপরেই বসেন। আর একটা কথা বারবার বলবো, যদি এলাকাবাসী ও ক্লাবের সদস্য এবং এলাকার সকল মহিলারা যদি না সহযোগিতার হাত বাড়াতো, আমরা একটু একটু করে ৭২ তম বর্ষে পৌঁছাতে পারতাম না, আমাদের এলাকার সকল অধিবাসীবৃন্দ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে আনন্দ করেন। তাই সকল অধিবাসীবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞ। আর যাহারা আমাদেরকে বিজ্ঞাপন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাহাদের কাছেও আমরা চির কৃতজ্ঞ।, বিজ্ঞাপন দাতাদের সহযোগিতায় আমাদের পুজো একটু একটু করে বড় হয়ে উঠেছে ,এবং প্রতিবছর এলাকাবাসীকে আনন্দ দেওয়ার জন্য, আমরা চেষ্টা করি, প্রতি বছর সিনেমা ও সিরিয়াল জগতের অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের আনতে।‌ এলাকার সকল সদস্যকে আনন্দ দিতে। উৎসাহ দিতে।

রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ