
আইডি কার্ডকে ইস্যু করে মিঠাপুকুরে
ইউএনও এবং প্রধান শিক্ষক’র অপসারণের দাবী
আব্দুল হালিম,স্টাফ রিপোর্টার,রংপুর
সম্প্রতি বিজ্ঞান মেলায় ২ জন ছাত্রের আইডি কার্ডে শেখ রাসেল ও শেখ মজিবুর রহমানের ছবিকে কেন্দ্র করে মিঠাপুকুর ইউএনও এবং বিদ্যালয় সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বর্মণ ও বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান বুলু সম্পর্কে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। খবরটি পড়ে এলাকাবাসী ও অভিজ্ঞ মহল বিস্মিত হয়েছেন। প্রকৃত ঘটনাটি হচ্ছে আইডি কার্ড গলায় ঝুলে ২ জন ছাত্র বিজ্ঞান মেলায় উপস্থিত হয়। উক্ত কার্ডটিকে ইস্যু করে সাংবাদিকগণ পত্রিকায় বিরুপ মন্তব্য করেন এবং মিঠাপুকুর ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণের অপসারণের দাবী করেন বিএনপি’র জনৈক একনেতা। প্রকৃত পক্ষে ইউএনও একজন সৎ ও নিষ্টাবান ব্যক্তি। ইউএনও এবং প্রধান শিক্ষকের কোন ত্রুটি নেই বলে এলাকার অভিজ্ঞ মহল জানান। আইডি কার্ডকে ইস্যু করে পত্রিকায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে হাটবাজার ইজারায় কমিশন বানিজ্য, ঘুষ দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার সহ দূর্নীতির আলামত নষ্ট সহ বিভিন্ন অভিযোগ দৈনিক দিনকাল পত্রিকায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে,
তা সঠিক নয়। ২০ জানুয়ারি ২০২৫ সোমবার বিকালে পাইকান উচ্চ বিদ্যালয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে মিলেছে এ তথ্য।
প্রধান শিক্ষক, মোঃ বদিউজ্জামান বুলু জানান, বিগত সরকারের ২০২১ সালে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও স্কুল অব ফিউচার প্রাপ্ত হয়। স্কুল অব ফিউচারের কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে আইসিটি ডিভিশন অত্র প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের নাম ছবি ও ইআইডি নম্বর সম্বলিত স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরি করে প্রদান করেন। ২০২৪ এর গণ অভ্যুত্থানের পর উক্ত স্মাট আইডি কার্ডগুলো সরকারের পক্ষ থেকে ফেরত বা বাতিলের কোন চিটি না থাকায় সেগুলো শিক্ষার্থীর কাছে রয়েছে।
উক্ত কার্ডে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের লোগো ও মুজিব শতবর্ষী লোগো বিদ্যমান ছিল। ভুলবশত ২ জন ছাত্র আগের আইডি কার্ড নিয়ে বিজ্ঞান মেলায় গিয়েছিল।
২০-০১-২০২৫