10:57 pm, Sunday, 20 April 2025

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির একজন ❝আইডল❞ বললেন,ছাত্রদল নেতা— ইমতিয়াজ আলী রিশান

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির একজন ❝আইডল❞ বললেন,ছাত্রদল নেতা— ইমতিয়াজ আলী রিশান

জীবন দেওয়ান উজ্জ্বল,নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রত্যেক রাজনীতিবিদকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতির “আইডল”মানা উচিত।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতির “আইডল” বলা হয় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে:

১. **স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা**
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর এই ভূমিকা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক।

২. **রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা**
১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন, যা তাকে গণতন্ত্রপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত করেছে।

৩. **বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন**
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোকে পুনরায় কার্যকর করেন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রসারে ভূমিকা রাখে।

৪. **উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ**
তিনি কৃষি, শিল্প, অবকাঠামো ও অর্থনীতিতে বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যা দেশের উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে তোলে। “শিক্ষাই শক্তি” ও “স্বনির্ভর বাংলাদেশ” তার উন্নয়ন দর্শনের প্রতিফলন।

৫. **বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দর্শন প্রতিষ্ঠা**
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদকে রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে দাঁড় করান এবং বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) গঠন করেন, যা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

৬. **সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ**
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে কাজ করেন এবং প্রতিরক্ষা খাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আনেন।

৭. **আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন**
তার শাসনামলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হয়।

এসব কারণেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের অনেক মানুষ রাজনৈতিক “আইডল” হিসেবে দেখে, বিশেষ করে তার দল ও সমর্থকরা তাকে একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে গণ্য করেন।
আমি মনে করি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত।
তাতে বাংলাদেশের মঙ্গল হবে।

ইমতিয়াজ আলী রিশান,
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ঠাকুর গাঁও’পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুর রহমানের ঘোষ বানিজ্য

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির একজন ❝আইডল❞ বললেন,ছাত্রদল নেতা— ইমতিয়াজ আলী রিশান

Update Time : 02:22:15 pm, Thursday, 30 January 2025

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির একজন ❝আইডল❞ বললেন,ছাত্রদল নেতা— ইমতিয়াজ আলী রিশান

জীবন দেওয়ান উজ্জ্বল,নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রত্যেক রাজনীতিবিদকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতির “আইডল”মানা উচিত।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতির “আইডল” বলা হয় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে:

১. **স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা**
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর এই ভূমিকা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক।

২. **রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা**
১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন, যা তাকে গণতন্ত্রপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত করেছে।

৩. **বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন**
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোকে পুনরায় কার্যকর করেন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রসারে ভূমিকা রাখে।

৪. **উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ**
তিনি কৃষি, শিল্প, অবকাঠামো ও অর্থনীতিতে বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যা দেশের উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে তোলে। “শিক্ষাই শক্তি” ও “স্বনির্ভর বাংলাদেশ” তার উন্নয়ন দর্শনের প্রতিফলন।

৫. **বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দর্শন প্রতিষ্ঠা**
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদকে রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে দাঁড় করান এবং বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) গঠন করেন, যা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

৬. **সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ**
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে কাজ করেন এবং প্রতিরক্ষা খাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আনেন।

৭. **আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন**
তার শাসনামলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হয়।

এসব কারণেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের অনেক মানুষ রাজনৈতিক “আইডল” হিসেবে দেখে, বিশেষ করে তার দল ও সমর্থকরা তাকে একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে গণ্য করেন।
আমি মনে করি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত।
তাতে বাংলাদেশের মঙ্গল হবে।

ইমতিয়াজ আলী রিশান,
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল।